আইন, বিচার ও সংসদবিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ‘আমি কসবা ও আখাউড়ায় বহু উন্নয়ন কাজ করেছি। প্রায় আড়াই হাজার বেকার যুবক-যুবতীদের চাকরি দিয়েছি। তাই আপনাদের সন্তান হিসাবে আপনাদের ভালোবাসা নিয়ে আপনাদের সঙ্গে থাকতে চাই।’
তিনি বলেন, ‘আগামী ডিসেম্বরের শেষ অথবা ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আপনারা নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে, ২০৪১ সালে বাংলাদেশকে স্মার্ট বাংলাদেশ গঠন করার পথকে তরান্বিত করবেন।’
আরও পড়ুন : ‘ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্ক সোনালি অধ্যায় পার করছে’
বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) দুপুরে কসবা উপজেলার কুটি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ আয়োজিত শোকসভায় এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
এ সময় আনিসুল হক বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশকে আলাদা করে দেখা যায় না। এর কারণ তিনি বুঝতে পেরেছিলেন এই পাকিস্তান রাষ্ট্রের মাধ্যমে বাঙালি জাতির মুক্তি আসবে না। তাই তিনি বাঙালির অধিকার আদায়ের জন্য সংগ্রাম করেছেন এবং জীবনের ১৩ বছর কারাগারে কাটিয়েছেন। তিনি কখনো পাকিস্তানিদের সঙ্গে আপস করেননি। ২৫ মার্চ গভীর রাতে পাকিস্তানিরা নিরীহ বাঙালির ওপর বর্বোরোচিত হামলা করলে তিনি ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ ভোর রাতে স্বাধীনতার ডাক দেন। বাঙালি জাতি তার ডাকে স্বাধীনতাযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন। বঙ্গবন্ধুকে পাকিস্তানে হত্যা করতে চেয়েও পাকিস্তানিরা বিশ্ববাসীর চাপে করতে পারেনি। পরে স্বাধীনতার পর ১৯৭৫ সালে ১৫ আগস্ট সপরিবারে হত্যা করে তাকে ইতিহাসের পাতা থেকে মুছে দিতে চেয়েছিল। তারা বাংলাদেশকে অন্ধকারে ঠেলে দিয়েছিল, দেশটাকে আবারও পাকিস্তান বানানোর জন্য। সেখান থেকে বঙ্গবন্ধুর কন্যা দেশটাকে টেনে তুলে মর্যাদার আসনে বসিয়েছে।’
ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সাইদুর রহমান স্বপনের সভাপতিত্বে ও কুটি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা মোস্তাক আহম্মদের পরিচালনায় শোকসভায় আরও বক্তব্য রাখেন কসবা উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল কাওসার ভুঁইয়া জীবন, কসবা পৌর মেয়র এম জি হাক্কানী, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম সোহাগ, কাজী আজহারুল ইসলাম, এমরান উদ্দিন জুয়েল, মনির হোসেন, শামিম আহম্মেদ, বাহাদুর আলম প্রমুখ।
মন্তব্য করুন