চাঁদপুরের কচুয়ার ৬ নম্বর উত্তর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সিংআড্ডা গ্রামে সালিশে ডেকে এক গৃহবধূকে প্রকাশ্যে লাঠিপেটাসহ নির্যাতনের ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হলে সালিশকারী ইউপি সদস্য ফরিদসহ নির্যাতনকারী চারজনকে আটক করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) সন্ধ্যায় আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেন কচুয়া থানার ওসি মো. ইব্রাহিম খলিল।
আরও পড়ুন : সেবাপ্রার্থীকে জুতাপেটা করল পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তারা
সোশ্যাল মিডিয়া ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, এক বিধবা নারী প্রেমের মাধ্যমে দ্বিতীয় বিয়ে করার অভিযোগে সালিশি বৈঠক বসিয়েছিল এক ইউপি সদস্য। সেখানেই প্রকাশ্যে বাড়ির আঙিনায় জনসম্মুখে বসিয়ে ওই গৃহবধূকে নানা গালমন্দ করে মারতে মারতে একাধিকবার লাঠি ভেঙে ফেলেন এক যুবক। পরে সেই লাঠিপেটা ও নির্যাতনের ভিডিও ভাইরাল হলে পুলিশ আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ হিসেবে চারজনকে আটক করে।
ভুক্তভোগী গৃহবধূ বলেন, ৯ বছর আগে আমার স্বামী আব্দুর রহিমের মৃত্যু হয়। পরে আমি একই গ্রামের মোবারক হোসেনের ছেলে আলমগীর হোসেনকে ঢাকায় আদালতের মাধ্যমে বিয়ে করি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সালিশি বৈঠক ডেকে আমার প্রথম স্বামীর বড় ভাইয়ের ছেলে আলমগীর প্রকাশ্যে আমাকে গালমন্দ করে লাঠিপেটা করতে থাকে। পরে আমি পুলিশে অভিযোগ দেই। তবে কে ভিডিও করে এটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছেড়েছে, সেটি আমি বলতে পারছি না।
এ বিষয়ে কচুয়া থানার ওসি মো. ইব্রাহিম খলিল বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে গৃহবধূকে লাঠিপেটাসহ নির্যাতনের ভিডিও ভাইরালের পর তা দেখে অপরাধী চিহ্নিত করি। আমরা ইউপি সদস্য ফরিদ আহমেদ ও তার ভাই জসিমসহ চারজনকে আটক করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠিয়েছি। এ ছাড়াও এই অভিযোগের প্রধান আসামি আলমগীরকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।
মন্তব্য করুন