সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা করায় আবদুর রাজ্জাক নামে এক ইউপি সদস্যকে (মেম্বার) কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (১১ আগস্ট) বিকেলে তামাই বাজার এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।
ভাঙ্গাবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জহুরুল ইসলাম ভুঁইয়ার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ উঠেছে। আহত আবদুর রাজ্জাক সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। তিনি ভাঙ্গাবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য।
শনিবার (১২ আগস্ট) সকালে হাসপাতাল থেকে আহত আবদুর রাজ্জাক বলেন, শুক্রবার বিকেলে তামাই গ্রামে মফেল সরকার নামে এক আত্মীয়ের কুলখানি অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ শেষে ফেরার পথে জহুরুল চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে তার ওপর হামলা চালানো হয়। এ সময় দেশীয় অস্ত্র দিয়ে তাকে কুপিয়ে জখম করা হয়।
আবদুর রাজ্জাক অভিযোগ করেন, ভাঙ্গাবাড়ি ইউনিয়নের উত্তর বানিয়াগাঁতী প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পে আমাকে সভাপতি মনোনীত করা হয়। চেয়ারম্যান জহুরুল ইসলাম ভুঁইয়া সভাপতি হতে না পারায় প্রকল্পের কাজে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করেন। তিনি বিভিন্ন সময় চাঁদা দাবি করেন। বাধ্য হয়ে গত ৩ আগস্ট সিরাজগঞ্জ বিজ্ঞ দ্রুত বিচার আদালতে চেয়ারম্যানকে আসামি করে মামলা দায়ের করি। মামলার পর থেকে চেয়ারম্যান আমাকে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছিলেন। এরই জের ধরে এ হামলার ঘটনা ঘটে বলে দাবি করেন তিনি।
এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান জহুরুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, আমার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা হয়েছে বিষয়টা জানতাম না। আর মেম্বর রাজ্জাকের ওপর হামলার ব্যাপারেও আমি কিছু জানি না। মূলত আমি এমপি সাহেবের রাজনীতি করি। মেম্বার রাজ্জাক অন্য গ্রুপের সঙ্গে রাজনীতি করেন। এ কারণে আমার বিরুদ্ধে তিনি ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছেন।
বেলকুচি থানার ওসি খায়রুল বাশার জানান, শুক্রবার বিকেল ৪টার দিকে ইউপি সদস্য আবদুর রাজ্জাক রক্তাক্ত অবস্থায় থানায় এসে বলেন, চেয়ারম্যান তাকে কুপিয়ে আহত করেছে। আমরা তাকে হাসপাতালে পাঠিয়ে দেই। পরে জানতে পারি আশ্রয়ণ প্রকল্পে বালু দেওয়াকে কেন্দ্র করে তাদের মধ্যে ঝামেলা হয়েছে, মামলা-মোকদ্দমাও আছে। এসব নিয়েই এ ঘটনা ঘটতে পারে। এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ করা হয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন