দেবীগঞ্জ (পঞ্চগড়) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৫১ এএম
আপডেট : ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:১৭ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

বিজয় দিবসে দেওয়া হয় না শ্রদ্ধাঞ্জলি, অযত্নে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভ

বিজয় দিবসে দেওয়া হয় না শ্রদ্ধাঞ্জলি, অযত্নে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভ
অবহেলায় মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভ। ছবি : কালবেলা

পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে প্রশাসনের অবহেলায় কোনো কাজে আসছে না ২৭ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভ। নির্মাণ কাজ শেষের পর থেকে স্বাধীনতা দিবস কিংবা বিজয় দিবসে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হয়নি এ মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভে। অবহেলা আর অযত্নে ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে স্মৃতিস্তম্ভটি।

রোববার (১৫ ডিসেম্বর) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, প্রশাসনের নিয়মিত নজরদারি না থাকায় দিনের বেলায় সেখানে কাপড় শুকাতে দেওয়া হয়। স্মৃতিস্তম্ভের চারদিকে ফেলা হয় বাসা বাড়ির ময়লা-আবর্জনা। দূর থেকে দেখলে মনে হয় দেবীগঞ্জ মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভ ময়লার ভাগাড়ে দাঁড়িয়ে আছে। এছাড়া নির্মাণের পর থেকে ব্যবহার না করায় ইতোমধ্যে নষ্ট হয়েছে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভের পাশে নির্মাণ করা টয়লেটসহ অন্যান্য জিনিসপত্র।

এদিকে, দেবীগঞ্জের যে স্থানটিতে মুক্তিযুদ্ধের কোনো স্মৃতি নেই সেই স্থানে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন মুক্তিযোদ্ধারা। প্রশাসনের অবহেলায় এটি ময়লার ভাগাড় হয়েছে বলেও অভিযোগ করা হয়‌।

এ বিষয়ে যুদ্ধকালীন কোম্পানি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা একে ভুঁইয়া বলেন, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভটি এখানে কীভাবে কার পরামর্শে করা হয়েছে আমি জানি না। এখন যেহেতু মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভটি নির্মাণ করা হয়েছে সেহেতু যথাযথ মর্যাদা দেওয়া উচিত। স্মৃতিস্তম্ভে কাপড় শুকানো হচ্ছে, পাশেই ময়লা-আবর্জনা ফেলা হচ্ছে। এতে করে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান ক্ষুণ্ন হচ্ছে।

এদিকে জাতীয় বিভিন্ন দিবসগুলো বিশেষত স্বাধীনতা দিবস এবং বিজয় দিবসেও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হয় না মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভ, দেওয়া হয় না কোনো ধরনের শ্রদ্ধাঞ্জলি।

এ বিষয়ে দেবীগঞ্জ উপজেলা প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক নাজমুস সাকিব মুন বলেন, আজ থেকে চার বছর আগে এই স্মৃতি স্তম্ভটি নির্মাণ করা হয়েছে। দুঃখজনক হলেও সত্য এখানে কোনো শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হয় না। এমনকি দেবীগঞ্জ মুক্ত দিবসেও শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হয় না। সারা বছর ময়লা-আবর্জনা থাকে।

এ বিষয়ে দেবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাহমুদুল হাসান বলেন, যদি এখানে কেউ ময়লা ফেলে থাকে তাহলে কাজটা সঠিক হচ্ছে না। পৌরসভার পরিষ্কার করার কথা। দেখি আমি খোঁজখবর নিয়ে পরিষ্কারের ব্যবস্থা করব।

মুক্তিযোদ্ধা এবং স্থানীয়দের দাবি, মুক্তিযুদ্ধের এই স্মৃতিস্তম্ভটির দ্রুত সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণ করে প্রতি বছর জাতীয় দিবসগুলোতে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হোক।

উল্লেখ্য, মহান মুক্তিযুদ্ধে প্রাণ বিসর্জন দেওয়া শহীদদের স্মৃতি চির জাগরুক রাখতে ২০১৯ সালে সারা দেশের মতো পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ পৌরসভার বাবুপাড়া সংলগ্ন সরকারি খাস জমিতে প্রায় ২৭ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয় দেবীগঞ্জ মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভ।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

দাড়ি রাখা, অগোছালো পোশাক আর মেনে নেওয়া হবে না : মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী

গাজামুখী নৌবহর থেকে সরে দাঁড়াল ইতালি

অবশেষে নেপালের বিপক্ষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের জয়

বিশ্বকাপে ভারতের শুভসূচনা

বিশ্বকাপ শুরুর আগে বাংলাদেশ দলে দুঃসংবাদ

এমবাপ্পের হ্যাটট্রিকে রিয়ালের বড় জয়

খালেদা জিয়ার সঙ্গে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ

পূজায় কোনো নিরাপত্তার ঝুঁকি নেই : ডিএমপি কমিশনার

হাসপাতালের বিছানায় সাবেক মন্ত্রীর বিতর্কিত ছবি নিয়ে যা বলছে কারা কর্তৃপক্ষ

বিএনপির পররাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে নর্থ আমেরিকা পররাষ্ট্র কমিটির বৈঠক

১০

বিএনপি ক্ষমতায় এলে সকলে মিলে দেশ গড়বো : ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ

১১

বকেয়া বিল আদায়ের ঘটনায় পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের বিরুদ্ধে অপপ্রচার

১২

ঐক্যবদ্ধভাবে অপশক্তিকে প্রতিহত করতে হবে : সেলিমুজ্জামান 

১৩

ধেয়ে আসছে শক্তিশালী বৃষ্টিবলয় ‘প্রবাহ’

১৪

চবির ফারসি বিভাগে শিক্ষক নিয়োগে অনিয়ম অভিযোগ গেল দুদকে

১৫

একজন চিকিৎসক দিয়েই চলছে হাসপাতাল

১৬

চারদিন পর খাগড়াছড়িতে অবরোধ স্থগিত

১৭

চলতি অর্থবছর কেমন হবে, জানাল এডিবি

১৮

বিএনপি ক্ষমতায় এলে সবাই মিলে দেশ গড়ব : ড. ফরিদুজ্জামান

১৯

সিপিআর বাঁচাতে পারে হার্ট অ্যাটাকের লাখো প্রাণ

২০
X