রংপুর (কাউনিয়া) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:৩০ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

রংপুরে চাকরি ছেড়ে মাশরুম চাষে সফল আবুল কালাম

মাশরুম চাষ করে সফলতার স্বপ্ন দেখছেন উদ্যোক্তা মো. আবুল কালাম। ছবি : কালবেলা
মাশরুম চাষ করে সফলতার স্বপ্ন দেখছেন উদ্যোক্তা মো. আবুল কালাম। ছবি : কালবেলা

পরিশ্রমের তুলনায় বেতন কম হওয়ায় চাকরি ছেড়ে মাশরুম চাষ করে এখন সফলতার স্বপ্ন দেখছেন উদ্যোক্তা মো. আবুল কালাম। রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার শহীদবাগ ইউনিয়নের প্রাণনাথ চর এলাকার বাসিন্দা। একসময় গার্মেন্টসে চাকরি করতেন সেখানে পরিশ্রমের তুলনায় বেতন কম হওয়ায় চাকরি ছেড়ে নিজ উদ্যোগে মাশরুম চাষ শুরু করেন তিনি।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, আবুল কালাম নিজ বাড়ির আঙিনায় একটি ঘরে সাজিয়েছেন মাশরমের র‌্যাক। বাঁশের মাঝে সারি সারি ঝুলানো রয়েছে মাশরুমের প্যাকেট। প্যাকেট ভেদ করে বের হওয়া মাশরুমগুলো দেখতেও বেশ চমৎকার। তার সহধর্মিণী ছাড়াও ৬ থেকে ৭ জন শ্রমিক নিয়মিত কাজ করার পাশাপাশি বেকারত্ব দূরীকরণেও আবুল কালাম রাখছেন ভূমিকা।

কাউনিয়া উপজেলা কৃষি অফিসের সহযোগিতায় সঠিকভাবে মাশরুম চাষের ওপর প্রশিক্ষণ নিয়ে তার এই পথচলা। মূলত নিজের ইচ্ছেশক্তি আর কৃষি অফিসের উৎসাহে মাশরুম চাষে উদ্বুদ্ধ হয়ে মাশরুম চাষ শুরু করেন তিনি। ২০২১ সাল থেকে তিনি মাশরুম চাষ করছেন।

আবুল কালাম কালবেলাকে বলেন, ২০২১ সালে গার্মেন্টসের চাকরি ছেড়ে দিয়ে ইউটিউব দেখে মাশরুম চাষের পরিকল্পনা করি। পরে মাগুরায় মাশরুম চাষের ওপর একটি প্রশিক্ষণ নিয়ে ওই সালের নভেম্বর মাসে দেড় লাখ টাকা দিয়ে বাড়িতে মাত্র ২০টি স্কল দিয়ে মাশরুম চাষ শুরু করেন। ২০২৪ সালে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে ঢাকা মাশরুম উন্নয়ন ইনস্টিটিউটে একটি প্রশিক্ষণে পাঠায়। প্রশিক্ষণ শেষে ৩ লাখ টাকা দেয় বিভিন্ন উপকরণ কেনার জন্য। বর্তমানে তার সব মিলে প্রায় ৪০০ স্কল আছে। রংপুর অঞ্চলে মাশরুমের তেমন চাহিদা না থাকায় প্রতিদিন ৫ কেজি করে মাশরুম তুলে বাজারজাত করি। প্রতি কেজি পাইকারি দরে বিক্রি হয় তিনশ টাকা। বাজারে মাশরুমের চাহিদা বাড়লে উৎপাদ বাড়বে। তখন হয়তো অনেক টাকা আয় করা যাবে।

কাউনিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোছা. তানিয়া আক্তার কালবেলাকে জানান, আবুল কালাম একজন ভালো উদ্যোক্তা। মাশরুম উন্নয়ন ইনস্টিটিউট চোবহানবাগ সাভারে তিনি মাশরুম চাষের উপর উন্নতর প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। মাশরুম চাষের চাষ প্রণালী তিনি হাতে কলমে শিখেছে। তার মাধ্যমে পিউর কালচার, মাদার কালচার ও বাণিজ্যিক স্পুন তৈরি করবে। আবুল কালামের মাঝে দেখছেন তিনি প্রচুর সম্ভবনা। তাই তাকে একটি ইনকুলেশন ঘর, চাষ ঘর, ভেন গাড়ি, স্টেরিলাইজেশন চেম্বার দুটি ঘর দেয়া হবে। যাতে থাকবে নজেলের মাধ্যমে স্প্রে সিস্টেমসহ বিভিন্ন উপকরণ সরবরাহ করা হয়েছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ইচ্ছে পূরণে হেলিকপ্টারে বউ আনলেন প্রবাসী আতিক

ফ্রান্সে বাশার আল-আসাদের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা বাতিল

১৫ জেলায় ৩ ফুট জলোচ্ছ্বাসের শঙ্কা

দুপুরের মধ্যে ৭ জেলায় ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের শঙ্কা

বাঁশের সঙ্গে ‘নৌকা’ ঝুলিয়ে আ.লীগ কর্মী গ্রেপ্তার 

স্লিপার বাস উল্টে শিশুসহ নিহত ১০

২৬ জুলাই : আজকের নামাজের সময়সূচি

শনিবার রাজধানীর যেসব এলাকার মার্কেট বন্ধ

প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় যুবকের কাণ্ড

ন্যাপ’র প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী : মাইলস্টোন ট্র্যাজেডিতে হতাহতদের সম্মানে আনুষ্ঠানিকতা বাতিল

১০

ভাঙা সড়কে ধানের চারা রোপণ, সিটি করপোরেশনকে ‘লাল কার্ড’

১১

কুমিল্লায় ‘২৩ মামলার আসামি’ আল-মামুনকে কুপিয়ে হত্যা

১২

২৬ জুলাই / তিন সমন্বয়ককে হাসপাতাল থেকে তুলে নেয় ডিবি

১৩

নারী ও শিশুসহ ২১ রোহিঙ্গাকে বিএসএফের পুশইন

১৪

খুবিতে ‘শহীদ মীর মুগ্ধ বৃত্তি’ পেলেন ৪ শিক্ষার্থী

১৫

স্বাস্থ্য পরামর্শ / নিয়মিত খাদ্য তালিকায় রাখুন ভিটামিন ‘সি’যুক্ত খাবার

১৬

টেস্ট ইতিহাসে অনন্য এক উচ্চতায় জো রুট

১৭

ঠাকুরগাঁও-২ আসনে গণঅধিকার পরিষদের প্রার্থী ফারুক হাসান

১৮

একাত্তর নিয়ে জামায়াত আগে ক্ষমা চাক, তারপর বিএনপির সমালোচনা : টুকু

১৯

চমেক হাসপাতালে ডে-কেয়ার সার্জারি, ‘সকালে অপারেশন, বিকেলে ছুটি’

২০
X