৩৬ জুলাইকে স্মরণীয় রাখতে বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) গণঅধিকার পরিষদের প্রথম ধাপের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করা হয়েছে। তালিকায় ঠাকুরগাঁও-২ নির্বাচনী এলাকা থেকে মনোনীত হয়েছেন গণঅধিকার পরিষদের মুখপাত্র ও সিনিয়র সহসভাপতি ফারুক হাসান।
ফারুক হাসানের গ্রামের বাড়ি ৬ নং কাশিপুর ইউনিয়ন, রানীসংকৈল উপজেলায়। ৫ ভাই বোনের মধ্যে তিনি সবার ছোট। পড়াশোনা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। ব্যক্তিগত জীবনে ফারুক হাসান বিবাহিত, ফারুক হাসানের সহধর্মিণী হাইকোর্টের আইনজীবী।
প্রার্থিতা ঘোষণা নিয়ে ফারুক হাসান বলেন, ‘আমার নির্বাচনী এলাকা ঠাকুরগাঁও-২ দীর্ঘদিন ধরে উন্নয়ন বঞ্চিত। বিগত সময়ে এই আসনে যিনি এমপি ছিলেন তিনি জনগণের কল্যাণে কোনো কাজ করেননি। আমি ফারুক হাসান এখনো এমপি নির্বাচিত হইনি, তারপরও শতাধিক মসজিদ, মাদ্রাসা, স্কুল, কাঁচা রাস্তা পাকাকরণসহ শতাধিক ওযুখানা ও টিউবওয়েল বিতরণ করেছি। এরইমধ্যে ঘোষণা দিয়েছি, আমার নির্বাচনী এলাকায় কোনো মসজিদ-মাদ্রাসা ওযুখানা ও টিউবওয়েল ছাড়া থাকবে না ইনশাআল্লাহ। একইসঙ্গে প্রতিটি ইউনিয়নে ১০০ করে টিউবওয়েল বিতরণ করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘নির্বাচনী এলাকা নিয়ে আমি পরিষ্কার কিছু পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি। বিশেষ করে আমার এলাকায় ভালো মানের কোনো হাসপাতাল না থাকায় মানুষজন সুচিকিৎসা থেকে বঞ্চিত। আমি আল্লাহর রহমতে নির্বাচিত হতে পারলে ঠাকুরগাঁও-২ এ হরিপুর ও বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় ২টি আধুনিক মানের হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করব। আমার এলাকা কৃষিনির্ভর হওয়ায় এখানে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান কেন নেই, সে বিষয়ে আমি কাজ করব। যাতে কৃষকরা তাদের ফসলের ন্যায্যমূল্য পায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার এলাকা সীমান্তবর্তী হওয়ার কারণে মাদক এখানে বিগত সময়ে সহজলভ্য ছিল। ইনশাআল্লাহ আগামীতে আমার এলাকা হবে মাদকমুক্ত। শিক্ষা ক্ষেত্রেও অনেক পিছিয়ে আমরা, নেই কোনো ভালো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। আমার টার্গেট নির্বাচনী এলাকায় ২-৩টি ভালো মানের কলেজ ও স্কুল প্রতিষ্ঠা করা। যেসব স্কুল রয়েছে সেগুলোকে আধুনিকমানের করা; যাতে আমার এলাকার গরিব মানুষকে ঢাকায় এসে পড়াশোনা করতে না হয়।’
ফারুক হাসান বলেন, ‘কাঠামোগত উন্নয়নে আমার বিশেষ ফোকাস থাকবে ইনশাআল্লাহ। যেহেতু আমার এলাকার প্রায় ৭০ শতাংশ রাস্তা এখনো কাঁচা, বর্ষাকালে মানুষজন এসব রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে পারেন না।’
মন্তব্য করুন