চা ব্যবসায় বাংলাদেশ চা বোর্ড ও বিএসটিআইয়ের বৈধ লাইসেন্স না থাকা, অননুমোদিত ট্রেড মার্ক ও মূল্য সংযোজন কর (মূসক) চালান ব্যবহার না করা, চায়ের মোড়ক নকল, রাজস্ব ফাঁকি ও কালোবাজার থেকে চা কেনার অপরাধে পঞ্চগড়ের সদর উপজেলায় দুই প্রতিষ্ঠানকে আড়াই লাখ টাকা জরিমানা করেছেন চা বোর্ডের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
সোমবার (২১ আগস্ট) বিকেলে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে চা প্যাকেটজাত প্রতিষ্ঠান ‘মিরপুরী চা’-কে ৫০ হাজার টাকা এবং মেসার্স বিসমিল্লাহ ট্রেডার্সের ‘আল আমিন টি’-কে দুই লাখ টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও বাংলাদেশ চা বোর্ডের উপসচিব ও মোহাম্মদ রুহুল আমীন। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতে জরিমানার অর্থ নগদ প্রদান করে দুই চা প্যাকেটজাতকারী প্রতিষ্ঠান। পরে সেই টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা প্রদান করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, অবৈধ চা ব্যবসা বন্ধ, চা ব্যবসায় নানা অনিয়ম ও সরকারের রাজস্ব ফাঁকি প্রতিরোধে পঞ্চগড়ের বিভিন্ন চা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে জেলা প্রশাসনের সহায়তায় গত কয়েক দিন ধরে বাংলাদেশ চা বোর্ড ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় সদর উপজেলার দুই চা প্যাকেটজাত কারখানায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। পরে সেসব প্রতিষ্ঠানে চা ব্যবসার বাংলাদেশ চা বোর্ড ও বিএসটিইয়ের কোনো বৈধ লাইসেন্স পাওয়া যায়নি, অনুনমোদিত ট্রেড মার্ক ব্যবহার ও মূল্য সংযোজন কর (মূসক) চালান ব্যবহার না করা, চায়ের মোড়ক নকল, রাজস্ব ফাঁকি এবং কালোবাজার থেকে চা ক্রয়ের প্রমাণ মেলে। পরে তাদের চা আইন ২০১৬ ভঙ্গের অপরাধে চা প্যাকেটজাত প্রতিষ্ঠান ‘মিরপুরী চা’-কে ৫০ হাজার টাকা ও মেসার্স বিসমিল্লাহ ট্রেডার্সের ‘আল আমিন টি’-কে দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
মোহাম্মাদ রুহুল আমীন বলেন, চা বোর্ডের লাইসেন্স না নিয়ে অবৈধভাবে ব্যবসা করছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। এ ছাড়া কালোবাজার থেকে চা কিনে সরকারের বিপুল পরিমাণ ভ্যাট ও ট্যাক্স ফাঁকি দিচ্ছে কিছু অসৎ চা ব্যবসায়ী। চা ব্যবসার এসব নানা ধরনের অনিয়ম প্রতিরোধে চা বোর্ড পঞ্চগড়ে গত তিন দিন ধরে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করছে। এ ধরনের অভিযান চলমান থাকবে।
এ ছাড়াও তিনি সব চা ব্যবসায়ীদের প্রয়োজনীয় সব লাইসেন্স নিয়ে ভ্যাট ও ট্যাক্স পরিশোধ করে বৈধভাবে ব্যবসা পরিচালনারও নির্দেশনা প্রদান করেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকালে পঞ্চগড় আঞ্চলিক চা বোর্ডের উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. আমির হোসেন, ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মোহাম্মদ সায়েদুল হক ও পঞ্চগড় সদর থানার পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন