বিএনপি-জামায়াত বিদেশিদের মাধ্যমে পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় আসতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফরউল্লাহ।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে তিনি বলেন, আজকের এই মুজিব গোল চত্বর থেকে হুঁশিয়ারি করতে চাই, যতই ষড়যন্ত্র করেন, বিদেশিদের কাছে যতই ধরনা দেন, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা নৌকা ভক্তরা রাতের অন্ধকারে পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় আসতে দেবে না। বুকের রক্ত একবার দিয়েছি, প্রয়োজন হলে আবারও দেব তবুও বাংলাদেশকে পাকিস্তান বানাতে দেব না।
২১ শে আগস্ট ভয়াবহ গ্রেনেড হামলায় নিহত শহীদদের স্মরণে আজ সোমবার বিকেলে ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের মুজিব চত্বরে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে কাজী জাফরউল্লাহ এসব কথা বলেন।
কাজী জাফরউল্লাহ বলেন, বিএনপি-জামায়াত কখনো নির্বাচনে আসবে না, এরা জানে নির্বাচনে অংশ নিলে নৌকার প্রার্থীর কাছে হেরে যাবে। কোনোদিনও ক্ষমতায় আসতে পারবে না, এজন্যই এরা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। বিদেশিদের মাধ্যমে পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় আসতে চায়।
ভাঙ্গা উপজেলা যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, শ্রমিক লীগ ও কৃষক লীগের আয়োজনে ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের মুজিব গোল চত্বরে আলোচনা সভায় তিনি ২০০৪ সালের ২১ শে আগস্টের গ্রেনেড হামলার বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেন, সেদিন রক্তে লাল হয়েছিল আমার সারা শরীর, আইভি রহমানসহ অনেক নেতাকর্মী শহীদ হন, অনেকে পঙ্গু হয়ে মারা যান, আমি জননেত্রী শেখ হাসিনার পাশেই ছিলাম।
২১ শে আগস্টের গ্রেনেড হামলার বর্ণনা দিতে গিয়ে তিনি আরও বলেন, জননেত্রীর বক্তব্য শেষ তখনই বিকেল ৫টা ১৭ মিনিট বাজে হঠাৎ রমনা ভবনের পাশের খুঁটি থেকে গ্রেনেড নিক্ষেপ করা হলো। অল্পের জন্য রক্ষা পেল নেত্রীসহ ট্রাকের নেতাকর্মী। গ্রেনেড লেগেছিল আমাদের বহন করা সেই ট্রাকের চাকায়। সাথে সাথে ঝাঁঝরা হয়ে গেল চাকা। নেত্রীকে সিকিউরিটি গার্ডরা তাকে উঁচু করে নিয়ে বুলেটপ্রুফ গাড়িতে উঠিয়ে নিলেন। আমার বুকে সর্বাঙ্গে ব্যথা শুরু হয়ে গেল, শরীর রক্তে রঞ্জিত হয়ে গেল। সারা শরীরে স্প্লিন্টার ঢুকে গেল। জনসভায়স্থল হয়ে উঠল নিহত ও আহতদের স্তূপ। সেদিনকার ষড়যন্ত্রকারীরাই ’৭৫-এর ১৫ই আগস্টে চাবিকাঠি নেড়েছিল। জাতীয় চার নেতাকেও এই দোসররা হত্যা করেছিল। এখন সারা দেশ থেকে দাবি উঠছে এই ঘাতকদের ফাঁসির কাষ্ঠে ঝোলানোর জন্য। আমরা তাদের বিচার এই বাংলার মাটিতে দেখতে চাই।
জনসভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ভাঙ্গা উপজেলা সাবেক সভাপতি কাজী হেদায়েতুল্লাহ সাকলাইন, ভাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাইফুর রহমান মিরন, সাধারণ সম্পাদক আকরামুজ্জামান রাজা, যুগ্ম সম্পাদক সাবেক চুমুরদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেন জালাল, পৌর সাংগঠনিক সম্পাদক বদরুদ্দীন আহমেদ টিপু মির্জা, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য কামরুজ্জামান কাফি প্রমুখ।
মন্তব্য করুন