মাদারীপুরে বালু ব্যবসার দ্বন্দ্বের জেরে আপন দুই ভাইকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এদিকে হামলার ঘটনার পর এলাকাজুড়ে থমথমে অবস্থা নিয়ন্ত্রণে মোতায়েন করা হয়েছে সেনাবাহিনী ও পুলিশ। এ ঘটনায় আটক করা হয়েছে দুজনকে।
নিহত সাইফুল সরদার ও আতাউর সরদার সদর উপজেলার খোয়াজপুর ইউনিয়নের খোয়াজপুর-টেকেরহাট এলাকার আজিবর সরদারের ছেলে। এছাড়া নিহত প্রতিবেশী মুজাম সরদারের ছেলে পলাশ সরদার (১৮)।
অন্যদিকে গুরুতর আহতরা হলেন- সাইফুলের ভাই অলিল সরদার ও আজিজুল হকের ছেলে তাজেল সরদার।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে মাদারীপুর সদর উপজেলার খোয়াজপুরে কীর্তিনাশা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে আসছে ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল সরদার। এ নিয়ে দ্বন্দ্ব হয় একই এলাকার শাজাহান খানের সাথে। এরই জেরে শনিবার বেলা ১১টার দিকে খোয়াজপুর সরদারবাড়ি জামে মসজিদের সামনে একা পেয়ে সাইফুলের উপর হামলা চালায় শাজাহানের লোকজন। এ খবর আশপাশে ছড়িয়ে পড়লে সাইফুলের বড়ভাই আতাউর ও চাচাতো ভাই অলিল ও প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসে। এ সময় কুপিয়ে হত্যা করা হয় সাইফুল ও তার বড়ভাই আতাউর সরদারকে। আহত হয় অন্তত ৫ জন। তাদের উদ্ধার করে ভর্তি করা হয় ২৫০ শয্যার জেলা সদর হাসপাতালে। সেখান থেকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তিনজনকে পাঠানো হয় ঢাকা মেডিকেলে।
এদিকে তিনজনের মধ্যে ঢাকায় নেওয়ার পরে মৃত্যুবরণ করেন মুজাম সরদারের ছেলে পলাশ সরদার (১৮)। খবর পেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। ঘটনাস্থল থেকে দুজনকে আটক করেছে পুলিশ।
স্থানীয়রা জানান, খোয়াজপুরের শাজাহান খান লোকজন নিয়ে অতর্কিতভাবে এই হামলা চালায়। বাঁচতে নিহতরা স্থানীয় মসজিদে ঢুকেও শেষ রক্ষা পায়নি। এই ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া দরকার।
মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার চাতক চাকমা (সদর সার্কেল) বলেন, এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করায় মোতায়েন করা হয়েছে সেনাবাহিনী ও অতিরিক্ত পুলিশ। নিহত সাইফুলের বিরুদ্ধে ছিনতাইসহ একাধিক মামলা রয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। পুলিশি টহল ও অভিযান জোরদার করা হয়েছে। অপরাধীরা শিগগিরই ধরা পড়বে।
মন্তব্য করুন