নিত্যপণ্যসহ খাবারের দাম যেখানে হু-হু করে বাড়ছে, সেখানে চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণের উপাদী উত্তরের বাংলাবাজারে মাত্র ২ টাকা মূল্যেই শিঙাড়া, পেঁয়াজু, আলুপুরি, চপ, বেগুনি মিলছে আলম হোটেলে। আর তাই মতলব ছাড়াও আশপাশের মানুষ প্রতিদিন বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত মুখরোচক এই খাবার খেতে ভিড় জমাচ্ছেন।
স্থানীয় ও দোকান-সংশ্লিষ্টরা জানায়, শিঙাড়াসহ অন্যান্য খাবার বিক্রি করে স্টাফ খরচ, দোকান ভাড়াসহ যাবতীয় খরচ দিয়ে ৪-৫ হাজার টাকা দিনে আলম বাবুর্চির লাভ হয়। তা দিয়েই তিনি স্বাবলম্বী। আলম বাবুর্চি একসময় বিদেশে ছিলেন। পরে তার বাবা এ পেশায় থাকায় বাবার সূত্রে তিনি এ পেশায় এসেছেন। তার তৈরি এই পেঁয়াজু-শিঙাড়া রুচিসম্পন্ন হওয়ায় অনেক মানুষ এগুলো খেতে ভিড় জমানোয় স্থানীয় অন্যান্য রেস্তোরাঁও এখন ২ টাকা মূল্যের শিঙাড়া-পেঁয়াজু বিক্রির জন্য আগ্রহী হচ্ছে।
বিক্রেতাসহ হোটেলের কারিগররা বলেন, আমরা সবাই আলম মিয়ার কাছে স্বজন। এখানে বেচাকেনা সামাল দিতে হোটেলের কারিগরসহ সবকিছু আমরা নিজেরাই সামলাচ্ছি।
এদিকে দূর থেকে আসা ভোজনরসিকরা বলছেন, রোজকার গরম গরম এসব শিঙাড়া, পেঁয়াজু, পুরির সঙ্গে সঙ্গে বিটলবণ, পেঁয়াজ কুচি, টমেটো, শসা দিয়ে সালাদ দেওয়া হয়। মাত্র ২ টাকা মূল্যের খাবারের সঙ্গে এত কিছু দেওয়াতেই সবাই এর প্রতি আকৃষ্ট হয়ে দূর-দূরান্ত থেকে আলম হোটেলে ভিড় জমাচ্ছেন।
এ বিষয়ে আলম হোটেলের কর্ণধার মো. খোরশেদ আলম বলেন, পারিবারিকভাবেই পেশা হিসেবে বাবুর্চি পেশায় আসেন তিনি। পরে মতলবে গড়ে তোলেন আলম হোটেল। এখন দুই যুগেরও বেশি সময় তিনি তার হোটেলেই শ্রম দিয়ে অর্থনৈতিকভাবে সফল ব্যবসায়ী হয়েছেন। আর আয় ভালো হওয়ায় নিজের ছেলেকেও এই কাজেই সম্পৃক্ত করেছেন।
তিনি আরও বলেন, সততা ও একাগ্রতা থাকলে যে কোনো কাজেই সফলতা আসে। এমনটা আমার এই আলম হোটেলে প্রতিদিনকার গড়ে ২-৩ হাজার পিস শিঙাড়া বিক্রি দেখলেই বোঝা যায়। তাই এমন জমজমাট লাভজনক ব্যবসা দেখে এখন এলাকার অনেকেই ব্যতিক্রমী এই ২ টাকার শিঙাড়া, পেঁয়াজু বিক্রির ব্যবসা শুরু করতে আগ্রহী হচ্ছেন।
মন্তব্য করুন