মানিকগঞ্জের হরিরামপুরের ধূলশুড়া ইউনিয়নের আবিধারা এলাকায় ডাম্পিংয়ের কাজ চলমান অবস্থায় হঠাৎ করেই দেখা দিয়েছে নদীভাঙন। সোমবার (২১ আগস্ট) রাত দশটার দিকে হঠাৎ ভাঙন দেখা দিলে এক ঘণ্টার মধ্যেই ১২টি বসত বাড়ি বিলীন হয়ে যায়। এতে এলাকার জনমনে আতঙ্ক বিরাজ করে।
সরেজমিনে জানা যায়, বেশ কয়েকদিন ধরেই আবিধারা এলাকায় আপদকালীন নদী শাসনের কাজ চলছে। এর মধ্যেই সোমবার রাত দশটার দিকে ভাঙনে এক ঘণ্টার মধ্যে ১২টি পরিবারের ভিটে বাড়িসহ গাছপালা বিলীন হয়ে যায়। ঝুঁকির মধ্যে পরে আবিধারা এলাকার ৪৬ নম্বর চর মকুন্দিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ভাঙনের কবলে পড়ে ফাটল ধরে বিদ্যালয়টির ভবন। এ ছাড়া বিদ্যালয়টির একটি অংশ অনেকটাই বিলীনের পথে। ধুলশুড়া থেকে দোহার নবাবগঞ্জ যাতায়াতের একমাত্র ইট-সোলিং রাস্তার প্রায় ১০০ ফিট নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এর ফলে এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। খবর পেয়ে মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন মানিকগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাঈন উদ্দীন ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসন সানোয়ারুল হক।
আবিধারা গ্রামের কাঞ্চন বেপারি জানান, হঠাৎ করেই রাতে এক ঘণ্টার মধ্যে চোখের সামনে দিয়ে সব শেষ হয়ে গেছে। কিছুই করার ছিল না। জিনিসপত্রও সরানোর কেউ সুযোগ পাইনি। এমন ভাঙন আমি আর কোনো দিন দেখিনি।
ইসলামপুর গ্রামের গৃহবধূ ময়না বেগম জানান, রাতে কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই এক ঘণ্টার মধ্যে আমার ঘরসহ ভিটে বাড়ি বিলীন হয়ে যায়। ঘরের কিছুই সরাতে পারিনি। আমার সব শেষ হয়ে গেছে।
ধূলশুড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহেদ খান জানান, আমার এখানে ডাম্পিংয়ের কাজ চলছে। হঠাৎ করেই আমার কাছে মনে হয়েছে ভূমিকম্প হচ্ছে। বড় জোর এক ঘণ্টা হবে, এর মধ্যেই ১২টি বাড়ি শেষ। পাশেই প্রাথমিক বিদ্যালয়। যে কোনো সময় বিদ্যালয়টিও বিলীন হয়ে যেতে পারে।
মানিকগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাঈন উদ্দীন বলেন, এখানে কয়েকদিন ধরেই পানি উন্নয়ন বিভাগ থেকে আপৎকালীন সময়ে ১২০০ মিটার ডাম্পিংয়ের কাজ চলছে। হঠাৎ করেই সোমবার রাতে কয়েকটি বাড়ি বিলীন হয়ে যায়। ভাঙনকবলিত স্থানে জরুরি ভিত্তিতে জিও ব্যাগের পাশাপাশি, জিও টিউব ও ডাম্পিং শুরু করেছি।
মন্তব্য করুন