মঠবাড়িয়া (পিরোজপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৪ মার্চ ২০২৫, ০১:৫১ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

১২ কোটি টাকার কাজ ফেলে লাপাত্তা ঠিকাদার

ধুলা ওড়া রাস্তায় চলাচলে ভোগান্তি। ছবি : কালবেলা
ধুলা ওড়া রাস্তায় চলাচলে ভোগান্তি। ছবি : কালবেলা

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার মিরুখালি সড়কটি কয়েক বছর ধরে বেহাল অবস্থা ছিল। দীর্ঘদিনের ভোগান্তির পর সড়কের কাজ শুরু হওয়ায় বাসিন্দারা স্বস্তি প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু সেই স্বস্তি বেশিদিন টেকেনি। ৫ আগস্টের পর থেকে লাপাত্তা ঠিকাদার, ফলে বন্ধ রয়েছে সড়কের কাজ। এতে দুর্ভোগের শেষ নেই সাধারণ মানুষের।

মঠবাড়িয়া উপজেলা প্রকৌশলী কার্যালয়ের প্রকৌশলী জিয়ারুল ইসলাম কালবেলাকে জানান, ২০২৩ সালের জুন মাসে ভান্ডারিয়ার ইফতি টিসিএল নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশ দেওয়া হয়। মঠবাড়িয়া শূন্য কিলোমিটার থেকে টাকবাজার পর্যন্ত দুইটি প্যাকেজে ৬ কিলোমিটার রাস্তায় সংস্কার ব্যয় ধরা হয়েছে ১২ কোটি ৩৯ লাখ টাকা।

প্রথম প্যাকেজটিতে তিন কিলোমিটারের রাস্তা সংস্কারের জন্য ব্যয় ধরা হয় ৫ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। দ্বিতীয় প্যাকেজটিতে তিন কিলোমিটারের রাস্তার সংস্কারে জন্য ব্যয় ধরা হয় ৬ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। কাজ সমাপ্ত করার কথা ছিল ২০২৪ সালে এপ্রিল মাসে। কিন্তু সড়কে ইটের খোয়া ফেলে ফেলেই লাপাত্তা ঠিকাদার।

সরেজমিন দেখা যায়, ৬ কিলোমিটার রাস্তার পুরোনো কার্পেট উঠিয়ে নতুন করে ইটের খোয়া দেওয়া হয়েছে। সেই খোয়া এখন উঠে চলাচলে বাধা সৃষ্টি করছে। ব্যস্ততম এই সড়কে বালু জমে গেছে। বালি আর ধুলামাখা পথ দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়েই চলছে মালবাহী পরিবহনসহ যাত্রীবহনকারী ছোট বড় গণপরিবহন। সড়কের পাশের সব গাছপালা ইতোমধ্যেই নষ্ট হয়ে গেছে। ঘর-বাড়িগুলো ধুলায় ঢাকা পড়েছে। সড়কের ধুলার কারণে একদিকে যেমন যান চলাচলের বিঘ্ন সৃষ্ট হচ্ছে। অন্যদিকে পরিবেশ ও স্বাস্থ্যগতভাবে নানা সমস্যা দেখা দিয়েছে সড়কের ধারে বসবাস করা স্থানীয়দের।

স্থানীয় বাসিন্দা, পথচারী ও গাড়ির চালকরা জানান, এই সড়কটি উপজেলার অন্যতম ব্যস্ততম আঞ্চলিক সড়ক। প্রতিদিন এই সড়ক দিয়ে ৫-৪ হাজার গাড়ি চলাচল করতে। কিন্তু এখন যে অবস্থা তাতে কয়েকশ গাড়ি চলে। পরিচ্ছন্ন পোশাকে একবার এই সড়ক দিয়ে যাতায়াত করলেই সেটি আর ব্যবহার উপযোগী থাকছে না। মাথা ঢেকে আর মুখে মাস্ক পরেও চলাচল করা যায় না। এখনই যে অবস্থা তাতে সামনে বর্ষার সময় আসলে এই সড়ক দিয়ে কোনো মতেই আর চলাচল করা যাবে না।

এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী মো. জিয়ারুল ইসলাম কালবেলাকে বলেন, আমরা ঠিকাদারের লোকজনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। যাতে দ্রুত কাজটি শেষ করতে পারি। তাছাড়া রাস্তায় ৭৪টি বড় গাছ জেলা পরিষদ কাটতে দেয়নি তাই কাজে বিলম্ব হচ্ছে। ১ কোটি ২০ লাখ টাকা বিল দিয়েছি। সরকার পরিবর্তনের ফলে নতুন একটি বিল সাড়ে তিন কোটি টাকার দাখিল করতে পারেননি ঠিকাদার। আমাদের চেষ্টা থাকবে যত দ্রুত সম্ভব কাজটি শেষ করে জনসাধারণের জন্য চলাচলের উপযোগী করে দেওয়া।

পলাতক থাকায় ঠিকাদারের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

চিনির বদলে গুড় খাওয়া কতটা ভালো জেনে নিন বিশেষজ্ঞের মতামত

খাগড়াছড়ির ঘটনায় এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতার পদত্যাগ

ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হলেন তৌসিফ-তিশা

স্থায়ী বসবাসের নিয়মে কড়াকড়িতে যাচ্ছে যুক্তরাজ্য

রাবির অ্যাপ্লায়েড কেমিস্ট্রি বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের সংগঠনের নেতৃত্বে নজরুল-মিজানুর

এবার গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতির ওপর হামলা

৩ মাস ধরে ওষুধ সংকট, রোগীরা ফিরছেন খালি হাতে

শপিং ব্যাগের মূল্য নেওয়া বন্ধে আড়ংকে লিগ্যাল নোটিশ

যুবলীগের ৩ নেতা আটক

বৃষ্টি নিয়ে সুখবর দিল আবহাওয়া অফিস

১০

বিইউবিটির শিক্ষার্থীদের আন্তর্জাতিক স্বর্ণপদক জয়

১১

খাগড়াছড়ির ঘটনায় প্রতিবেশী দেশের ইন্ধন রয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১২

বিসিবি নির্বাচন / বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পরিচালক হতে যাচ্ছেন যারা

১৩

পরিবেশের অবনতি হচ্ছে ইউরোপে, ইইএর সতর্কবার্তা

১৪

ইলিশ ধরায় ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা

১৫

খাগড়াছড়ির দুই সড়কে অবরোধ শিথিল 

১৬

চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় এসিসি যা দিচ্ছে তার ৮ গুণ অর্থ পুরস্কার পাচ্ছে ভারত!

১৭

জামায়াত আমিরের সঙ্গে ভুটান রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ

১৮

স্বেচ্ছাশ্রমে রাস্তা সংস্কার করে প্রশংসায় ভাসছেন যুবদলের নেতাকর্মীরা

১৯

জাতীয় পার্টির রওশনপন্থি মহাসচিব মামুনুর রশিদ গ্রেপ্তার

২০
X