বৃহস্পতিবার, ০১ মে ২০২৫, ১৮ বৈশাখ ১৪৩২
মঠবাড়িয়া (পিরোজপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৪ মার্চ ২০২৫, ০১:৫১ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

১২ কোটি টাকার কাজ ফেলে লাপাত্তা ঠিকাদার

ধুলা ওড়া রাস্তায় চলাচলে ভোগান্তি। ছবি : কালবেলা
ধুলা ওড়া রাস্তায় চলাচলে ভোগান্তি। ছবি : কালবেলা

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার মিরুখালি সড়কটি কয়েক বছর ধরে বেহাল অবস্থা ছিল। দীর্ঘদিনের ভোগান্তির পর সড়কের কাজ শুরু হওয়ায় বাসিন্দারা স্বস্তি প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু সেই স্বস্তি বেশিদিন টেকেনি। ৫ আগস্টের পর থেকে লাপাত্তা ঠিকাদার, ফলে বন্ধ রয়েছে সড়কের কাজ। এতে দুর্ভোগের শেষ নেই সাধারণ মানুষের।

মঠবাড়িয়া উপজেলা প্রকৌশলী কার্যালয়ের প্রকৌশলী জিয়ারুল ইসলাম কালবেলাকে জানান, ২০২৩ সালের জুন মাসে ভান্ডারিয়ার ইফতি টিসিএল নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশ দেওয়া হয়। মঠবাড়িয়া শূন্য কিলোমিটার থেকে টাকবাজার পর্যন্ত দুইটি প্যাকেজে ৬ কিলোমিটার রাস্তায় সংস্কার ব্যয় ধরা হয়েছে ১২ কোটি ৩৯ লাখ টাকা।

প্রথম প্যাকেজটিতে তিন কিলোমিটারের রাস্তা সংস্কারের জন্য ব্যয় ধরা হয় ৫ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। দ্বিতীয় প্যাকেজটিতে তিন কিলোমিটারের রাস্তার সংস্কারে জন্য ব্যয় ধরা হয় ৬ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। কাজ সমাপ্ত করার কথা ছিল ২০২৪ সালে এপ্রিল মাসে। কিন্তু সড়কে ইটের খোয়া ফেলে ফেলেই লাপাত্তা ঠিকাদার।

সরেজমিন দেখা যায়, ৬ কিলোমিটার রাস্তার পুরোনো কার্পেট উঠিয়ে নতুন করে ইটের খোয়া দেওয়া হয়েছে। সেই খোয়া এখন উঠে চলাচলে বাধা সৃষ্টি করছে। ব্যস্ততম এই সড়কে বালু জমে গেছে। বালি আর ধুলামাখা পথ দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়েই চলছে মালবাহী পরিবহনসহ যাত্রীবহনকারী ছোট বড় গণপরিবহন। সড়কের পাশের সব গাছপালা ইতোমধ্যেই নষ্ট হয়ে গেছে। ঘর-বাড়িগুলো ধুলায় ঢাকা পড়েছে। সড়কের ধুলার কারণে একদিকে যেমন যান চলাচলের বিঘ্ন সৃষ্ট হচ্ছে। অন্যদিকে পরিবেশ ও স্বাস্থ্যগতভাবে নানা সমস্যা দেখা দিয়েছে সড়কের ধারে বসবাস করা স্থানীয়দের।

স্থানীয় বাসিন্দা, পথচারী ও গাড়ির চালকরা জানান, এই সড়কটি উপজেলার অন্যতম ব্যস্ততম আঞ্চলিক সড়ক। প্রতিদিন এই সড়ক দিয়ে ৫-৪ হাজার গাড়ি চলাচল করতে। কিন্তু এখন যে অবস্থা তাতে কয়েকশ গাড়ি চলে। পরিচ্ছন্ন পোশাকে একবার এই সড়ক দিয়ে যাতায়াত করলেই সেটি আর ব্যবহার উপযোগী থাকছে না। মাথা ঢেকে আর মুখে মাস্ক পরেও চলাচল করা যায় না। এখনই যে অবস্থা তাতে সামনে বর্ষার সময় আসলে এই সড়ক দিয়ে কোনো মতেই আর চলাচল করা যাবে না।

এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী মো. জিয়ারুল ইসলাম কালবেলাকে বলেন, আমরা ঠিকাদারের লোকজনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। যাতে দ্রুত কাজটি শেষ করতে পারি। তাছাড়া রাস্তায় ৭৪টি বড় গাছ জেলা পরিষদ কাটতে দেয়নি তাই কাজে বিলম্ব হচ্ছে। ১ কোটি ২০ লাখ টাকা বিল দিয়েছি। সরকার পরিবর্তনের ফলে নতুন একটি বিল সাড়ে তিন কোটি টাকার দাখিল করতে পারেননি ঠিকাদার। আমাদের চেষ্টা থাকবে যত দ্রুত সম্ভব কাজটি শেষ করে জনসাধারণের জন্য চলাচলের উপযোগী করে দেওয়া।

পলাতক থাকায় ঠিকাদারের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ব্যাংকক থেকে আজ দেশে ফিরছেন সালাহউদ্দিন আহমেদ

প্রকৌশলীদের উন্নয়ন ও সংস্কার নিয়ে আইইবি’র মতবিনিময় সভা 

সৈয়দপুরে শাটল বাস সার্ভিস চালু করল বিমান

প্রকৌশলীদের অধিকার আদায়ে সারাদেশে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

সার্জেন্ট হেলালের সাহসিকতায় ২ ছিনতাইকারী আটক

শ্রমিকদের অধিকার আদায়ের ‘মহান মে দিবস’ আজ

নোবিপ্রবির পুকুরে ছাত্র-ছাত্রীদের গোসলের ছবি ভাইরাল, প্রশাসনের সতর্কতা

রাজধানী থেকে পুরনো যানবাহন সরাতে অ্যাকশনে নামছে বিআরটিএ

কালবেলায় সংবাদ প্রকাশের পর ইউএনওকে বদলি

ববি প্রশাসনকে ‘মৃত’ ঘোষণা করে গায়েবানা জানাজা

১০

স্কুলের ১৮টি গাছ কাটলেন প্রধান শিক্ষক

১১

শাহ আমানত বিমানবন্দরের রানওয়েতে কুকুর, ব্যবস্থা নিতে মেয়রকে চিঠি

১২

আধিপত্য বিস্তারের দ্বন্দ্বে কুপিয়ে হত্যা

১৩

বাবরি মসজিদ বানাবেন পাকিস্তানি সেনারা : পাকিস্তানের সিনেটর

১৪

কাশ্মীর হামলার পর চাপে ভারতের মুসলিমরা, বেড়েছে দমনপীড়ন

১৫

ছাত্রদের ক্ষমতায় এনে দেশের ক্ষতি করা হয়েছে : সোহেল

১৬

সন্ধ্যা নদীতে বাঁধ নির্মাণের দাবি

১৭

মে মাসে হতে পারে ২টি ঘূর্ণিঝড়

১৮

শ্রমিক সমাবেশে নির্দেশনামূলক বক্তব্য দেবেন তারেক রহমান

১৯

ভয়াবহ পরিস্থিতিতে ‘জরুরি অবস্থা’ ঘোষণা ইসরায়েলে

২০
X