ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে হারের পর থেকেই পাকিস্তানের ক্রিকেটে যেন অস্থিরতা। সিরিজের প্রথম ওয়ানডে জিতে নেওয়ার পর টানা দুই ম্যাচ হেরে গেল বাবর-রিজওয়ানরা। বিশেষ করে তৃতীয় ওয়ানডেতে মাত্র ৯২ রানে গুটিয়ে যাওয়া—পাকিস্তানের ইতিহাসে চতুর্থ সর্বোচ্চ ব্যবধানে (২০২ রানে) পরাজয়ের লজ্জা দিয়েছে দলটিকে। আর এ ধাক্কাই এবার এশিয়া কাপের আগে শঙ্কা জাগিয়েছে সাবেক তারকা বাসিত আলীর মনে।
বাসিত আলীর ভাষায়, ‘আমি প্রার্থনা করি ভারত যেন এশিয়া কাপে পাকিস্তানের সঙ্গে খেলতে রাজি না হয়, যেমনটা তারা ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপ অব লিজেন্ডসে করেছিল। কারণ ভারত এদের এত খারাপভাবে হারাবে যে আপনারা ভাবতেও পারবেন না।’ তিনি আরও বলেন, ‘আফগানিস্তানের কাছে হারলে দেশে কেউ খুব একটা মাথা ঘামাবে না। কিন্তু ভারতের কাছে হারলেই সবার মাথা গরম হয়ে যাবে।’
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সেই ম্যাচে শুরু থেকেই ধসে পড়ে পাকিস্তানের ব্যাটিং। প্রথম তিন ওভারের মধ্যেই সাজঘরে ফেরেন ওপেনার সাইম আয়ুব, আবদুল্লাহ শফিক ও অধিনায়ক মোহাম্মদ রিজওয়ান—তিনজনই শূন্য রানে। তারকা ব্যাটার বাবর আজম করতে পারেন মাত্র ৯ রান, সর্বোচ্চ ৩০ রান আসে সালমান আগার ব্যাট থেকে। মাত্র ২৯.২ ওভারে গুটিয়ে যায় ইনিংস। ক্যারিবীয় পেসার জেডেন সিলস ছিলেন অপ্রতিরোধ্য—৬ উইকেট মাত্র ১৮ রানে।
তবে ওয়ানডের এই ব্যর্থতার আগে টি-টোয়েন্টি সিরিজে কিন্তু উজ্জ্বল ছিল পাকিস্তান। সালমান আগার নেতৃত্বে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতেছিল তারা। তাই ২০২৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতি হিসেবে সংযুক্ত আরব আমিরাতে হতে যাওয়া এশিয়া কাপে পাকিস্তানের টি-টোয়েন্টি দলে বড় পরিবর্তন আসতে পারে। বাবর আজম ও রিজওয়ান ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে খেলেননি, এবং এই ধারা এশিয়া কাপেও অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ এখনো কয়েকদিন দূরে, কিন্তু পাকিস্তানি শিবিরে চাপটা আগেই শুরু হয়ে গেছে—কারণ এই দ্বৈরথ কেবল একটি খেলা নয়, বরং মর্যাদা, ইতিহাস আর আবেগের লড়াই।
মন্তব্য করুন