সাদুল্লাপুর (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:০০ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

স্বামীকে তালাক দিয়ে প্রেমিকের বাড়িতে গৃহবধূর অনশন

বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে চারদিন দিন ধরে অনশন করছেন গৃহবধূ। ছবি : কালবেলা
বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে চারদিন দিন ধরে অনশন করছেন গৃহবধূ। ছবি : কালবেলা

গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলায় মোরশেদ মিয়া নামের প্রেমিকের বিয়ের প্রলোভনে পড়ে স্বামীকে তালাক দিয়েছেন এক গৃহবধূ। বিয়ের কথা বলে বাড়িতে ডেকে এনে লাপাত্তা প্রেমিক মোরশেদ। পরে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে চার দিন দিন ধরে অনশন করছেন ওই গৃহবধূ।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রায় ৫ বছর আগে মোরশেদ মিয়ার সঙ্গে লেখাপড়ার সুবাদে বিয়ের আগে থেকেই ওই গৃহবধূর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। প্রায় চার বছর আগে মেয়েটির অন্যত্র বিয়ে দেয়। সেখানে একটি ছেলেসন্তান রয়েছে। কিন্তু ওই গৃহবধূর অপেক্ষায় অবিবাহিত ছিলেন মোরশেদ মিয়া। বিয়ের পরও তাদের প্রেমের সম্পর্ক চলমান ছিল।

গত প্রায় সাত মাস আগে মোরশেদের বিয়ের প্রলোভনে স্বামীকে তালাক দেয় মেয়েটি। এরপর বিয়ে করবে বলে গত ১৩ এপ্রিল সকালের দিকে মেয়েটিকে বাড়িতে ডেকে আনে মোরশেদ। এতে ঘটে নানা বিপত্তি। পালিয়ে যায় মোরশেদ। তবে অনশন ছাড়েনি গৃহবধূ। গত চার দিন ধরে বিয়ের দাবিতে মোরশেদের বাড়িতে অবস্থান করছেন।

স্থানীয়রা জানান, মোরশেদের সঙ্গে প্রেম আছে বলেই মেয়েটি বিয়ের দাবিতে অনশন করছে। আমরা চাই ওই মেয়ের সঙ্গে মোরশেদের বিয়ে হোক। কিন্তু রসুলপুর ইউপি চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম উভয়পক্ষের কাছে টাকা নিয়ে বিয়ে পড়ানোয় টালবাহনা করছে। ইতোমধ্যে এ ঘটনার একটি ভিডিও চিত্র ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। এ নিয়ে চেয়ারম্যানের প্রতি ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে এলাকাবাসী।

ভুক্তভোগী মেয়েটি বলেন, মোরশেদের সঙ্গে আমার দীর্ঘদিনের প্রেম। ওর কথামতো আমার স্বামীকে তালাক দিয়েছি। আর বিয়ের করার জন্য আমাকে ওর বাড়িতে ডেকে এনে পালিয়েছে সে। এখন আমি কই যাব। তবে বিয়ে না করা পর্যন্ত এই বাড়ি ছাড়ছি না। তা না হলে আত্মহত্যা ছাড়া আমার কোনো উপায় নেই।

গৃহবধূর মা জানান, আমার মেয়ের বিয়ে পড়ানোর জন্য ইউপি চেয়ারম্যান ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন। এর মধ্যে ২০ হাজার টাকা দেওয়া হলেও বিয়ে এখনও পড়ায়নি তিনি।

প্রেমিক মোরশেদের মা বলেন, আমার ছেলের সঙ্গে ওই মেয়ের কোনো ধরনের সম্পর্ক নেই। এ নিয়ে গ্রামবাসীর কাছে বিচার দাবি করছি।

সাদুল্লাপুরের রসুলপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম বলেন, ছেলের প্রাপ্ত বয়স না হওয়ায় বিয়ে পড়ানো সম্ভব হচ্ছে না। এ ছাড়া আমি কারও কাছে কোনো প্রকার টাকা গ্রহণ করিনি।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বিমানের চাকা খুলে যাওয়ার ঘটনা তদন্তে কমিটি

কানে ইতিহাস গড়লেন নিতানশী গোয়েল

পাচারকালে অর্ধকাটি টাকার চিংড়ি রেনু জব্দ

সান্ডা ভেবে গুইসাপ উদ্ধার

যানজটে নাকাল কিশোরগঞ্জবাসী, বাড়ছে মৃত্যুঝুঁকি

বিদেশ যাওয়ার সময় বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার আ.লীগ নেতা

সেতুর কাজে প্রভাবশালী মহলের বাধা, কাজ বন্ধ ৩ মাস

ধান শুকাতে গিয়ে বজ্রপাতে স্বামীর মৃত্যু, স্ত্রী আহত

অন্তর্বর্তী সরকার সংস্কার-নির্বাচন কোনোটা ঠিকমতো করতে পারবে কি না সংশয় : মঞ্জু

পানিদূষণ রোধ করবে ঢাবি অধ্যাপকের নতুন প্রযুক্তি

১০

শেষ পর্যন্ত আইপিএলে খেলার এনওসি পেলেন মোস্তাফিজ

১১

মুন্সীগঞ্জে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, ক্ষতিগ্রস্তদের সহযোগিতার আশ্বাস গৃহায়ন উপদেষ্টার

১২

বোতল কাণ্ডে ডিবি কার্যালয়ে একজনকে জিজ্ঞাসাবাদ

১৩

বিএনপি-জামায়াত নেতাকর্মীদের বাড়িতে আগুন দেওয়ার পরিকল্পনার ভিডিও ফাঁস

১৪

বাংলাদেশ ফুটবল দলের নতুন হোম জার্সি প্রকাশ, পাওয়া যাবে কোথায়?

১৫

ইউক্রেনে মার্কিন এফ-১৬ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত

১৬

পারমাণবিক অস্ত্রের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ভারতকে পাকিস্তানের বার্তা

১৭

নতুন চ্যাপ্টারে লিটন: কীভাবে দল চালাতে চান জানালেন নিজেই

১৮

কারাগার না ডিসি পার্ক, কুমিল্লার রেসকোর্স আসলে কার?

১৯

গোপালগঞ্জে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে শিশুসহ আহত ৩০

২০
X