সালথা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:৩৫ এএম
অনলাইন সংস্করণ

পেঁয়াজ সংরক্ষণের ‘মডেল ঘর’ নির্মাণে নয়ছয়, বিপাকে কৃষক

ফরিদপুরের সালথায় পেঁয়াজ সংরক্ষণের মডেল ঘর নির্মাণে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। ছবি : কালবেলা
ফরিদপুরের সালথায় পেঁয়াজ সংরক্ষণের মডেল ঘর নির্মাণে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। ছবি : কালবেলা

ফরিদপুরের সালথায় পেঁয়াজ সংরক্ষণের মডেল ঘর নির্মাণে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা ও ঠিকাদার প্রতিটি ঘরের অর্ধেক বরাদ্দ হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছেন। শুধু তাই নয়, প্রকৃত যোগ্য কৃষকদের বাদ দিয়ে টাকা বিনিময় অযোগ্য কৃষকদের ঘর বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

এদিকে যারা এই মডেল ঘর পেয়েছেন, তাদের ঘরের নির্মাণ এখনও শেষ হয়নি। অথচ পেঁয়াজ উঠানো শেষ হয়ে আরও একমাস আগে। যে কারণে বিপাকে পড়েছেন কৃষকেরা। অন্যদিকে বরাদ্দ পাওয়া কৃষকদের প্রশিক্ষণের বরাদ্দও খেয়ে ফেলেছেন কর্মকর্তারা।

জানা গেছে, ফলন ও দাম ভাল হওয়ায় প্রতিবছরই সালথায় বাড়ছে পেঁয়াজের আবাদ। কিন্তু সংরক্ষণের অভাবে এখানকার উৎপাদিত পচনশীল ফসল পেঁয়াজের ২৫ থেকে ৩০ শতাংশই নষ্ট হয়ে যাওয়ার কারণে পেঁয়াজ চাষিরা ক্ষতিগ্রস্ত হন। এমন অবস্থায় পেঁয়াজ সংরক্ষণের জন্য সরকারিভাবে উদ্যোগ নেওয়ার দাবি জানিয়ে আসছিল প্রান্তিক পেঁয়াজ চাষিরা। এর ফলে এই বছর কৃষিবিপণন অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন কৃষক পর্যায়ে পেঁয়াজ ও রসুন সংরক্ষণ পদ্ধতি আধুনিকায়ন এবং বিপণন কার্যক্রম উন্নয়ন প্রকল্পের অধীনে সালথায় ৪৫টি ঘরের বরাদ্দ দেওয়া হয়।

সালথা উপজেলা কৃষি অফিস থেকে কৃষকদের নাম পাঠালেও কোনো কৃষক পাননি ঘর। কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মাঠ কর্মকর্তা শাহজাহান আলী ও আধুনিক পদ্ধতিতে পেঁয়াজ ও রসুন সংরক্ষণাগার নির্মাণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক হেলাল উদ্দিনের যোগসাজশে ১০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকার বিনিময়ে দেওয়া হয়েছে এ সকল সরকারি ঘর। এ ছাড়া ঘরের ডিজাইন বিকৃত করে নির্মাণ করা হচ্ছে। ঘর নির্মাণে অথবা বিতরণের বিষয়ে কোনো মতামত নেওয়া হচ্ছে না সালথা উপজেলা প্রশাসন ও কৃষি অফিসের। এমনকি সালথা উপজেলা প্রশাসন ও কৃষি অফিসে নেই এ সকল ঘরের তালিকা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পাঁচ লাখ ৯০ হাজার টাকা ব্যয়ে নির্মাণ প্রতিটি ঘর বাড়ির উঠান বা ফাঁকা জায়গায় মাত্র এক শতাংশ জমিতে টিন-বাঁশ, লোহা ও কংক্রিটের সমন্বয়ে তৈরি করা হচ্ছে। এই ঘরের আয়তন প্রায় ৩৭৫ বর্গফুট। প্রতিটি ঘরে বাতাস চলাচলের জন্য ৬টি বায়ু নিষ্কাশন পাখা সংযুক্ত রয়েছে। মূলত ভ্যান্টিলেশনের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা থাকার কারণেই সংরক্ষিত পেঁয়াজ পচবে না। তাপমাত্রা ও আর্দ্রতা পরিমাপের জন্য প্রতিটি ঘরে হাইগ্রোমিটার রয়েছে। প্রতিটি ঘরে সংরক্ষণ করা যায় সাড়ে ৩শ থেকে ৪শ মণ পেঁয়াজ। প্রতিটি ঘরে আলাদা আলাদা স্তরে পেঁয়াজ সংরক্ষণ করতে পারবেন অন্তত পাঁচজন কৃষক। এ ঘরে নয় মাস পর্যন্ত পেঁয়াজ ভালো থাকে।

পাঁচ লাখ ৯০ হাজার টাকা ব্যয়ে নির্মিতব্য প্রতিটি ঘর গত বছরের নভেম্বর মাসে ফরিদপুরের মেসার্স জাকির এন্ড ব্রাদার্স ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ৭ শতাংশ লেস দিয়ে এই ঘরগুলোর কাজ শুরু করেন। চলতি বছরের ৩০ মার্চ ঘরের কাজ শেষ করার কথা থাকলেও ঠিকাদার ও দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের উদাসীনতার কারণে এখনও ঘরগুলোর কাজ শেষ হয়নি। অধিকাংশ ঘরের কাজ শুরু করলেও একটি ঘরের কাজও সম্পূর্ণ করতে পারেনি। এমনকি কিছু কিছু ঘরের কাজ এখনও শুরুই করা হয়নি। পেঁয়াজ ও রসুন সংরক্ষণের দেশীয় মডেল ঘরের আশায় পেঁয়াজ চাষিরা তাদের পুরাতন ঘর মেরামত না করায় এখন পেঁয়াজ নিয়ে বিপাকে পড়েছেন তারা। এছাড়া মডেল ঘর পাওয়ার জন্য সালথা উপজেলা কৃষি অফিসে ৭০ জন কৃষক আবেদন করেন।

কৃষি অফিস যাচাই-বাছাই করে ৩০ জন কৃষকের নাম প্রকল্প পরিচালকের নিকট পাঠানো হয়। কিন্তু এই তালিকা থেকে কাউকেই ঘর বরাদ্দ দেওয়া হয়নি। কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মাঠ কর্মকর্তা শাহজাহান আলী ও আধুনিক পদ্ধতিতে পেঁয়াজ ও রসুন সংরক্ষণাগার নির্মাণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক হেলাল উদ্দিনের যোগসাজশে ১০ হাজার থেকে ১ লক্ষ টাকার বিনিময়ে দেওয়া হয়েছে এসকল সরকারি ঘর। এনিয়ে কৃষকদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। এছাড়া কৃষকেরা দাবি তুলেছেন সালথায় যেন পেঁয়াজ সংরক্ষণের জন্য সরকার আরও ঘর বা পেঁয়াজ সংরক্ষণের বিকল্প পদ্ধতি তৈরি করে সালথার কৃষকদের মাঝে দিতে পারে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে উপজেলা কৃষি অফিসের মাঠ কর্মীরা কালবেলাকে জানান, ৪৫টি মডেল ঘরের আওতায় ৪৫০ জন কৃষককে প্রশিক্ষণ দেওয়া কথা। প্রশিক্ষণ বাবদ প্রত্যেক কৃষকের জন্য ১ হাজার করে টাকা বরাদ্দ রয়েছে। সেই হিসেবে ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ পেয়েছেন। কিন্তু মাত্র ৪০ থেকে ৫০ জনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। অতএব কৃষকদের প্রশিক্ষণ বরাদ্দ থেকেই অন্তত ৪ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে। তাছাড়া প্রতিটি ঘরই মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময় দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে ঘর নির্মাণ কাজে নিম্নমানের সামগ্রী ও ডিজাইন পরিবর্তন করে প্রায় অর্ধেক বরাদ্দ হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

সালথা উপজেলার যদুনন্দি ইউনিয়নের কাজীপাড়ার হিরু শেখের ছেলে মো. শাখাওয়াত হোসেন কালবেলাকে বলেন, আমি এই বছর ৬-৭শ মণ পেঁয়াজ পেয়েছি। পেঁয়াজ ও রসুন সংরক্ষণের দেশীয় মডেল ঘরের আশায় আমি পেঁয়াজ সংরক্ষণের জন্য বিকল্প ব্যবস্থা করি নাই। ঘরের ঠিকাদারের চাহিদামতো টাকা না দেওয়ায় আমার ঘরের কাজ এখনও শুরু করা হয়নি। তাই আমি বাধ্য হয়ে কম দামে পিঁয়াজগুলো বিক্রি করে দিয়েছি। এতে আমার কয়েক লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে।

স্থানীয় গট্টি ইউনিয়নের কানইড় গ্রামের রেজাউল সেক বলেন, আমি ১০ হাজার টাকা খুশি হয়ে শাহজাহান স্যারকে দিয়েছি। অন্যরা ৫০ হাজার থেকে ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত দিয়ে ঘর পেয়েছে।

রামকান্তুপুর ইউনিয়নের নারানদিয়া গ্রামের আজিজ মাতুব্বরের ছেলে শাহিদ মিয়া এই প্রতিবেদককে বলেন, টাকা ছাড়া কি ঘর পাওয়া যায়? ঘর পেতে ৫০ হাজার টাকা লাগে। তবে টাকাটা কাকে দেওয়া লাগবে তার নামটি বলেননি।

বল্লভদী ইউনিয়নের পশ্চিম পিশনাইল গ্রামের আক্কাস মোল্যার ছেলে নান্নু মোল্যা বলেন, ঘরের সকল খরচ সরকার বহন করার কথা থাকলেও মিস্ত্রি খাবারের খরচ আমাদের বহন করা লাগতেছে। এছাড়া আমরা ঘরের ফ্লোরে বালু না দেওয়া পর্যন্ত ঠিকাদারের লোক কাজে আসবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে। তাই ঘরের ফ্লোরের বালুও আমরা দিয়েছি।

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স জাকির এন্ড ব্রাদার্সের স্বত্বাধিকারী মো. জাকির হোসেন বলেন, আমরা কোন অতিরিক্ত টাকা পয়সা নিচ্ছি না। মিস্ত্রিদের খাওয়াচ্ছে ওই কৃষক নিজে স্বেচ্ছায়। আর যে সকল ঘরে বেশি বালু লাগছে সেই ঘরে ওই কৃষকই বালু ফেলে দিচ্ছে এবং যে ঘরগুলোতে বেশি ম্যাটেরিয়ালস খরচ হচ্ছে সেই বেশি ম্যাটেরিয়ালসের টাকাগুলো কৃষকদেরকে দেওয়ার জন্য বলা হচ্ছে। কারণ সমতল জায়গায় ঘরগুলো করার কথা ছিল। অনেক কৃষক সেই সমতল জায়গায় ঘরগুলো করছে না বিধায় এই সমস্যাটা তৈরি হচ্ছে।

কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মাঠ কর্মকর্তা শাহজাহান আলী টাকা নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, সালথায় সরকারি ঘর বরাদ্দের চেয়ে চাহিদার বেশি থাকায় আমরা সবাইকে ঘর দিতে দিতে পারি নাই। তাই আমার নামে উল্টাপাল্টা কথা বলছে। এর চেয়ে বেশি কিছু বলতে পারব না। আরও কিছু জানার দরকার হলে প্রকল্প পরিচালকে ফোন করেন। কারণ তিনি নিজে এই এলাকায় এসে কৃষকদের বাড়িতে গিয়ে যাচাই-বাছাই করে ঘরগুলো দিয়েছেন। খোঁজ নিয়ে দেখেন আমি অনেকের বাড়িতে গিয়ে পানি পর্যন্ত খাই না।

সালথা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুদর্শন শিকদার কালবেলাকে বলেন, মডেল ঘর পাওয়ার জন্য সালথা উপজেলা কৃষি অফিসে ৭০ জন কৃষক আবেদন করেন। কৃষি অফিস যাচাই-বাছাই করে ৩০ জন কৃষকের নাম প্রকল্প পরিচালকের কাছে পাঠানো হয় কিন্তু এই তালিকা থেকে কাউকেই ঘর বরাদ্দ দেওয়া হয়নি। এছাড়া কারা এসকল ঘর পেয়েছে সে বিষয়েও আমাদেরকে অবগত করা হয়নি।

সালথা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আনিছুর রহমান বালী বলেন, ঘর বিতরণ, নির্মাণ ও টাকা নেওয়ার বিষয়ে আমাদের কাছে কেউ লিখিত অভিযোগ দিলে আমরা তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেব।

এ বিষয়ে ফরিদপুর জেলার সিনিয়র কৃষি বিপণন কর্মকর্তা মো. শাহদাত হোসেনের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তিনি প্রকল্প পরিচালকের সঙ্গে কথা বলার জন্য অনুরোধ করেন।

আধুনিক পদ্ধতিতে পেঁয়াজ ও রসুন সংরক্ষণাগার নির্মাণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক হেলাল উদ্দিন কালবেলাকে বলেন, এই মডেল ঘরগুলো পাওয়ার জন্য গণবিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়েছিল। গণবিজ্ঞপ্তির প্রকাশ হওয়ার পরে কৃষকদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা যাচাই-বাছাই করে ঘরগুলো কৃষকদের সুবিধার্থে বিনামূল্যে দিয়েছে। টাকা-পয়সা নিয়ে ঘর দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। টাকা পয়সা নিয়ে ঘর দেওয়ার ব্যাপারে আমরা অবগত নই। আর আমাদের ডিজাইনের বাহিরে ঘর করা বা বাড়তি টাকা নিয়ে ঠিকাদার ঘর করে দিবে এই ধরনের কোন সুযোগ রাখা হয়নি। টাকা পয়সা লেনদেনের বিষয়ে যদি কোনো কৃষক আমাদের কাছে লিখিত অভিযোগ দেয় তাহলে আমরা তদন্ত করে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

প্রকল্প পরিচালক হেলাল উদ্দিন বলেন, নিয়ম অনুযায়ী এই ঘরের কাজ ৩০ মার্চ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও বিভিন্ন কারণে ঠিকাদাররা সময় বাড়িয়ে নিয়েছেন। ৩০ এপ্রিলের ভিতরে এই ঘরের কাজ সম্পন্ন করতে হবে। আমাদের জানামতে ৭০ শতাংশ ঘরের কাজ প্রায় সম্পন্ন হয়েছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বিজেপি নেতার তোপে মোদি ও অমিত শাহ

ইট মারলে আমরা পাথর ছুড়ব, ভারতকে ইসহাক দার

পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী / ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে পাকিস্তানে হামলা চালাতে পারে ভারত

নিরাপদ ভোজ্যতেল প্রাপ্তির বাধা দূর করতে হবে

সাড়ে সাত হাজার চিকিৎসকের পদোন্নতি আটকে

বগা সেতু বাস্তবায়নে উপদেষ্টার সঙ্গে ড. মাসুদের বৈঠক

মানবিক সহায়তা করিডোর বিষয়ে গণসংহতি আন্দোলনের বিবৃতি

আর্সেনালকে হারিয়ে ফাইনালে এক পা পিএসজির

স্বাস্থ্য পরামর্শ / ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে জীবনযাপনে পরিবর্তন প্রয়োজন

ঢাবির বাসে হামলা, বিচার চায় ছাত্রদল-শিবির-ছাত্রফ্রন্ট

১০

শেখ হাসিনা আসবে, বাংলাদেশ হাসবে— স্লোগানে ফরিদপুরে মিছিল

১১

বিশ্লেষণ / ভারত কি এবার সত্যিই আক্রমণ করবে? 

১২

মেস থেকে জবি শিক্ষার্থীর মৃতদেহ উদ্ধার

১৩

মুরাদনগরে পুলিশি হয়রানি বন্ধ ও এসপি-ওসির প্রত্যাহার দাবি

১৪

বন্ধুকে ছাত্রলীগ সাজিয়ে পুলিশে দিয়ে তার প্রেমিকাকে ধর্ষণ ছাত্রদল নেতার!

১৫

যুদ্ধে যেতে বাধ্য রাশিয়ায় পাচার হওয়া ১০ বাংলাদেশি, নিহত ৩

১৬

মাটির নিচে পাওয়া মর্টার শেল বিস্ফোরণ, অর্ধশতাধিক ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত

১৭

বরিশালে একযোগে ১১ পুলিশ পরিদর্শকে বদলি

১৮

পালানোর সময় ছাত্রলীগ নেতাকে ধরে পুলিশে দিল বিএনপি

১৯

সিলেটে ঘর থেকে সিসিক কর্মচারীর লাশ উদ্ধার

২০
X