সাভারের আশুলিয়ায় অবস্থিত ঢাকা রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে (ডিইপিজেড) বিদ্যুৎ সংকটের কারণে দুদিন ব্যাহত হয়েছিল উৎপাদন কার্যক্রম। মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) সন্ধ্যা থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হওয়ায় পুরোদমে ডিইপিজেডে উৎপাদন কার্যক্রম চালু হয়েছে।
তবে কারখানা মালিকরা বলছেন, গত দুদিন বিদ্যুৎ সরবরাহ না থাকায় তাদের জ্বালানি খরচ বাবদ অতিরিক্ত ব্যয় হয়েছে কয়েক কোটি টাকা।
ডিইপিজেড সূত্রে জানা গেছে, ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের পাওয়ার প্লান্টে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সোমবার (২৮ এপ্রিল) দুপুর থেকে ডিইপিজেড এলাকায় বিদ্যুৎ সংকট দেখা দেয়। এ পরিস্থিতিতে উৎপাদন বন্ধ হয়ে পড়ে বেশ কয়েকটি কারখানায়। পরে বিকল্প উৎস হিসেবে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি) থেকে বিদ্যুৎ সংগ্রহ শুরু হয়। ধাপে ধাপে সরবরাহ বাড়িয়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করা সম্ভব হয়।
ডিইপিজেডের নির্বাহী পরিচালক শরীফুল ইসলাম কালবেলাকে বলেন, সোমবার থেকে পরিস্থিতি খারাপের দিকে যায়। মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত সীমিত পরিসরে বিদ্যুৎ পাওয়া গেলেও উৎপাদনের জন্য তা যথেষ্ট ছিল না। কয়েকটি কারখানা জেনারেটর চালিয়ে আংশিক কার্যক্রম চালিয়ে নেয়। তবে মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হয়ে যায়।
তিনি আরও বলেন, ঊর্ধ্বতন বিদ্যুৎ কর্মকর্তারা ডিইপিজেডের গুরুত্ব বিবেচনায় নিয়ে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের আশ্বাস দিয়েছেন। বর্তমানে ডিইপিজেডের সব কারখানায় পূর্ণাঙ্গ উৎপাদন কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
মন্তব্য করুন