নদীতে মার্চ-এপ্রিল দুমাসের নিষেধাজ্ঞা শেষে চাঁদপুরে বড় স্টেশন মাছঘাটে ক্রেতা-বিক্রেতার হাঁকডাকে সরগরম হওয়ার কথা থাকলেও সরেজমিনে দেখা গেছে সীমিত পরিসরেই চলছে ইলিশ বেচাকেনা।
বৃহস্পতিবার (১ মে) দিনব্যাপী বড় স্টেশন মাছঘাটে অবস্থান নিয়েও মণে মণে প্রত্যাশিত ইলিশ ঘাটে আসতে দেখা যায়নি।
জেলার পদ্মা-মেঘনা নদীতে প্রায় অর্ধলক্ষ জেলে নামলেও ৩-৪ কেজি ইলিশ কিংবা তার কম ইলিশ পাওয়ায় তারা ঘাটে ফিরছেন হতাশা নিয়ে।
আড়তদার সম্রাট বেপারি জানান, সকাল ৮টা থেকে ঘাটে বেচাকেনা শুরু হলেও এখন পর্যন্ত মাত্র ৩-৪ মণের বেশি ইলিশ আসেনি। আর যা এসেছে সবটাই স্থানীয় ইলিশ। এভাবে বেচাকেনা চলবে রাত ১০টা পর্যন্ত।
ফারুক বেপারি নামের আরেক খুচরা বিক্রেতা জানান, ১ কেজি ওজনের ইলিশ ২২০০ টাকা, সাড়ে ৫শ গ্রামেরটা ১৪৫০ টাকা, ১৩শ গ্রামেরটা ২৬০০ টাকা কেজি হিসেবে বিক্রি করছি। সাগরে অভিযান থাকায় আশপাশের জেলার নদীর ইলিশ ঘাটে আসছে না।
একই সুরে কথা বলা ঘাটের খুচরা মাছ বিক্রেতা শরিফ শিকদার ও সবুজ খান জানান, মানুষের যে পরিমাণ চাহিদা সে অনুযায়ী ঘাটে ইলিশ না থাকায় দাম বেশি। তবে ঘাট সরগরম হওয়া শুরু হলে দাম কিছুটা কমবে।
পুরানবাজারের জেলে আলম জানান, নদীতে নেমেছিলাম অনেকটা আশা নিয়ে। কিন্তু ৩টা ইলিশ পেলাম এ পর্যন্ত। এগুলোর দাম দিয়ে তেলের পয়সাও উঠবে না।
এ বিষয়ে চাঁদপুর মৎস্য সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক শবে বরাত কালবেলাকে বলেন, এখন ইলিশের মৌসুম নয়, তার ওপর সাগরে চলছে নিষেধাজ্ঞা। বৃষ্টি বাদলও কম। হয়ত সময়ের সঙ্গে সঙ্গে জুন-জুলাইতে ঘাটে বেশি পরিমান ইলিশ আসতে পারে। আমাদের ঘাটের প্রায় ১ হাজার লোক এখন প্রত্যাশিত ইলিশ ঘাটে উঠবে সে প্রত্যাশায় তাকিয়ে রয়েছে।
মন্তব্য করুন