রবিবার, ১৭ আগস্ট ২০২৫, ২ ভাদ্র ১৪৩২
কুমিল্লা ব্যুরো ও দেবিদ্বার প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০১ মে ২০২৫, ১০:৪০ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

খাবার চুরি, বি‌য়ে না করেই ফি‌রে যা‌চ্ছিলেন বর

বর পক্ষের বাকবিতণ্ডা। ছবি : সংগৃহীত
বর পক্ষের বাকবিতণ্ডা। ছবি : সংগৃহীত

বরপক্ষের ৩০ জন অতিথির খাবার স্বল্পতায় বিয়ে ভাঙার উপক্রম হয়েছিল। এতে বিয়ে না করেই ফিরে যেতে চান বর। বিব্রত ও অসহায় হয়ে পড়েন কনে পক্ষ। পরে কমিউনিটি সেন্টারের এক কক্ষে পাওয়া যায় লুকিয়ে রাখা খাবার। এতে শেষ রক্ষা মেলে। হাফ ছেড়ে বাঁচেন কনে পক্ষ।

ওই খাবার চুরি করে লুকিয়ে রেখেছিল কমিউনিটি সেন্টারের এক কর্মচারী। এতেই বাঁধে বিপত্তি। চুরি হওয়া খাবার উদ্ধার হলে অবসান হয় ভুল বোঝাবুঝির। দুপক্ষের মুরুব্বিদের সমঝোতায় এর পর সম্পন্ন হয় বিয়ে।

বৃহস্পতিবার (১ মে) দুপুরে কুমিল্লার দেবিদ্বার পৌর এলাকার মেজবান কমিউনিটি সেন্টারে এ ঘটনাটি ঘটে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দেবিদ্বার পৌর এলাকার মেজবান কমিউনিটি সেন্টারে গুনাইঘর উত্তর ইউনিয়নের রেহান উদ্দিনের ছেলে প্রবাসী শাহ জালালের সাথে মুরাদনগর উপজেলার মাস্টারপাড়া গ্রামের শের আলীর মেয়ে জান্নাতের বিয়ের অনুষ্ঠান চলছিল।

ওই অনুষ্ঠানে বর পক্ষের প্রায় ১২০ জন অতিথি আসেন। বরযাত্রীর সবাই খাবার খেলেও শেষের দিকে ৩০ জন অতিথির খাবার সংকট দেখা দেয়। এ নিয়ে বরপক্ষ ও কনে পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হলে এক পর্যায়ে বরযাত্রী ক্ষুব্ধ হয়ে বিয়ে না করেই চলে যেতে চান।

এদিকে খাবার স্বল্পতার কারণ খুঁজতে গিয়ে কনে পক্ষের লোকজন ওই কমিউনিটি সেন্টারের এক‌টি পরিত্যক্ত কক্ষে তল্লাশি চালিয়ে বিভিন্ন বালতি ও বলে ঢাকনা দেওয়া অবস্থায় বরযাত্রীর জন্য রান্না করা খাবার ও তবারকের জন‌্য আনা খেজুর দেখতে পায়। বিষয়‌টি কমিউনিটি সেন্টারের মালিক মির্জা তাজুল ইসলামকে সঙ্গে সঙ্গেই জানান।

বরযাত্রীর সঙ্গে আসা নাঈম বিন মুসা জানান, বরযাত্রীর অতিথিরা প্রথম দিকে খাবার পেলেও শেষের দিকে এসে অন্তত ৩০ জন খাবার পাননি। এ নিয়ে বর ও কনে পক্ষের মধ্যে বাক-বিতণ্ডা শুরু হয়। পরে কমিউনিটি সেন্টারের পরিত্যক্ত কক্ষে থেকে বরযাত্রীর জন্য রান্না করা খাবার উদ্ধার করা হয়।

বরের ভাই কামরুল ইসলাম জানান, কমিউনিটি সেন্টারে যারা খাবার পরিবেশন করেছেন তারাই খাবার চুরি করে লুকিয়ে রাখে। এক পর্যায়ে যখন খাবার পাওয়া যায় তখন দুপক্ষ শান্ত হয়।

কনের বাবা শের আলী জানান, আমরা কমিউনিটি সেন্টারের মালিক পক্ষের সঙ্গে ২০০ জন অতিথির খাবার অর্ডার করি। কিন্তু তারা ১৭০ জনের খাবার দিয়ে বাকি ৩০ জনের খাবার চুরি করেন। খাবার চুরি করে তারা আমাদের মান সম্মান নষ্ট করেছেন।

মেজবান কমিউনিটি সেন্টারের মালিক মির্জা তাজুল ইসলাম বলেন, যারা এই কাজে জড়িত তাদের সবাইকে সেন্টার থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। এগুলো বয় ও আয়ারা করে থাকতে পারে৷ তবে আমরা দেখেনি। আমাদের কমিউনিটি সেন্টার কোনো পরিত্যক্ত কক্ষ নাই। সব কক্ষই ব্যবহৃত হয়।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

রাবি ছাত্রদলের তিন নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার 

জয় দিয়ে লা লিগা অভিযান শুরু বার্সেলোনার

সিলেটে হচ্ছে বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট

নতুন মৌসুমে ম্যানসিটির দাপুটে শুরু

১১ বছরের শিশু চালাচ্ছিল ভ্যান, উল্টে প্রাণ গেল দাদা-নাতির

শিক্ষাকে ব্যবসা নয়, সেবায় রূপান্তর করতে হবে : আমিনুল হক

দেশে আরেকটা বিপ্লব হতে পারে : রেজা কিবরিয়া

অক্টোবরে দুবাইতে বাংলাদেশ-আফগানিস্তান সিরিজ

হঠাৎ অসুস্থ উপদেষ্টা ফারুকী, হেলিকপ্টারে ঢাকায় প্রেরণ 

শেখ হাসিনার থেকে শিশুরাও রক্ষা পায়নি : এ্যানি

১০

হজ কার্যক্রমে অংশগ্রহণের অনুমতি পেল ৩৩ বাণিজ্যিক ব্যাংক

১১

আমরণ অনশনে অসুস্থ রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ১১ শিক্ষার্থী

১২

পিআরে নির্বাচন হলে ৫৪ বছরের কলঙ্ক মুক্ত হবে : ডা. তাহের

১৩

৯ দফা দাবি রাবি শিক্ষক-কর্মকর্তাদের

১৪

‘এক বাড়ির এতগুলো কবর খোঁড়ার কাম আগে কোনোদিন করিনি’

১৫

কে কাকে দিয়ে ক্ষমতায় আসবেন সেই প্রতিযোগিতা ভুলে যান : রেজাউল করিম

১৬

‘জয় বাংলা’ গানে বিভ্রান্তি, আ.লীগ ভেবে ছাত্র-জনতার অনুষ্ঠানে হামলা

১৭

রাজধানীতে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করবে ইসলামী আন্দোলন, তারিখ ঘোষণা

১৮

চিকিৎসা পেশা নিয়ে মন্তব্যের জন্য ড. আসিফ নজরুলকে ক্ষমা চাইতে হবে : ড্যাব

১৯

রাকসু নির্বাচন / ভোটারের ৩৯ শতাংশই নারী, প্রার্থিতার আলোচনায় দুজন

২০
X