কক্সবাজারের ডুলাহাজারা সাফারি পার্কে ৪ মাস বয়সী মা হারা হাতি শাবকের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১ মে) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সাফারি পার্কের ভেটেরিনারি হাসপাতালে মৃত্যু হয়। মারা যাওয়া হাতি শাবকটি পুরুষ লিঙ্গের।
অভিযোগ উঠেছে, সাফারি পার্কের ভেটেরিনারি হাসপাতাল সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কর্তব্যে অবহেলা এবং রোগ নিরুপণে ত্বরিত পদক্ষেপ না নেওয়ার কারণে হাতি শাবকটির মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে অভিযোগ অস্বীকার করে পার্কের ভেটেরিনারি হাসপাতালের সার্জন খাতেম জুলকার নাইন বলেন, দায়িত্ব অবহেলার বিষয়টি সত্য নয়। ভেটেরিনারি হাসপাতালের কর্মীরা নিবিড় পরিচর্যায় হাতি শাবককে দেখভাল করে আসছে। পার্কে আনার পর থেকে হাতি শাবকটিকে নিয়মিত লেকটোজেন-১ পানির সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়ানো হতো। বৃহস্পতিবার হাতি শাবকের মৃত্যুর পর চকরিয়া উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার ডা. আরিফ উদ্দিন ও আমি (ভেটেরিনারি সার্জন) উপস্থিত থেকে ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। এছাড়া বয়স অনুপাতে হাতি শাবকের রোগ প্রতিরোধে শারীরিক সক্ষমতাও তৈরি হয়নি।
তিনি আরও বলেন, ময়নাতদন্তে হাতি শাবকের শরীরে রোগ জনিত সমস্যার (ভাইরাস ইনফেকশন) অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। তারপরও হাতি শাবকের মরদেহের নমুনা সংগ্রহ করে মৃত্যুর কারণ অধিকতর নির্ণয়ের জন্য ঢাকায় ল্যাবে পাঠানো হবে।
টেরিনারি সার্জন খাতেম জুলকারনাইন বলেন, ময়নাতদন্ত শেষে বৃহস্পতিবার (১ মে) দুপুর দেড়টার দিকে সাফারি পার্কের ভেতরে হাতি শাবকের মরদেহ মাটি চাপা দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ৫ জানুয়ারি কক্সবাজার জেলার টেকনাফ উপজেলার হোয়াইখং রেঞ্জের হোয়াইখং বনবিটের হরিণখোলা বুড়াবনিয়া নামক বনাঞ্চলে একটি গর্ভবতী হাতি শাবকটি প্রসব করে। এরপর প্রসবকালীন জটিলতায় মা হাতিটি মারা যায়। তবে প্রসবকৃত হাতি শাবকটি সুস্থ ছিল। পরে স্থানীয় লোকজন মাতৃহীন হাতি শাবকটি দেখে সংশ্লিষ্ট বনকর্মীদের খবর দেয়। পরে বনকর্মীরা খবর পেয়ে দ্রুত নবজাতক হাতি শাবকটি উদ্ধার করে।
এদিকে বনবিভাগের লোকজন মাত্র একদিন বয়সী হাতি শাবকটি লালনপালন ও চিকিৎসার জন্য ডুলাহাজারা সাফারি পার্কে বন্যপ্রাণী (ভেটেরিনারি) হাসপাতালে হস্তান্তর করেন। ৪ মাস পর বৃহস্পতিবার সকালে সেই হাতি শাবকটি মারা গেছে। তবে কী কারণে হাতি শাবকটি মারা গেছে তা ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পেলেই সঠিক জানা যাবে।
মন্তব্য করুন