পটুয়াখালী সদর উপজেলার লোহালিয়া ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডে বিয়ের জন্য বিষয়ে খোঁজ-খবর জানতে পাত্রের এলাকায় যান পাত্রীপক্ষ। এ সময় বিয়ের আলাপকে কেন্দ্র করে রক্তাক্ত সংঘর্ষে বারেক ফকির (৬৫) নামের এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন।
শনিবার (৫ মে) জোহরের নামাজ শেষে মোল্লা বাড়ি মসজিদের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, নামাজ শেষে আজহার খানের বড় ছেলে পাত্র আব্দুর রহমানের বিষয়ে মেয়ে পক্ষের পরিবার বারেক ফকিরের কাছে জানতে চান। তিনি শান্তভাবে উত্তর দিলেও আব্দুর রহমান ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে কিল-ঘুষি মারেন। পরে রহমানের ভাই আরিফ লাঠি ও রড দিয়ে নির্মমভাবে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন বারেক ফকিরকে।
তাকে তাৎক্ষণিকভাবে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা শারীরিক অবস্থা সংকটাপন্ন দেখে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে রেফার করেন। বরিশালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় অবস্থা আরও অবনতির দিকে গেলে তাকে বাড়ি পাঠানো হয়। কিন্তু বাড়ি ফেরার পথেই বারেক ফকির মারা যান।
নিহতের ছেলে সুমন ফকির বলেন, আমার বাবা একজন সৎ ও নিরীহ মানুষ ছিলেন। শুধু একটি বিয়ের প্রসঙ্গে প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার কারণে রহমান ও তার ভাই আরিফ তাকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করেছে। তারা যেভাবে আক্রমণ করেছে, তা অমানবিক ও পরিকল্পিত। আমরা তাকে হাসপাতালে নিলেও শেষ পর্যন্ত বাঁচানো গেল না, পথেই তিনি মারা যান। আমি একজন সন্তান হয়ে নয়, একজন নাগরিক হিসেবে এই হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই, যেন এমন মৃত্যু আর কোনো পরিবারকে দেখতে না হয়।
পটুয়াখালী সদর থানার ওসি মোহাম্মদ ইমতিয়াজ আহমেদ কালবেলাকে জানান, এ ঘটনায় নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর আমরা তাৎক্ষণিক অভিযান চালাই। অভিযুক্ত আজহার খানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলার অন্যান্য আসামিদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আমরা যথাযথ তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
মন্তব্য করুন