বগুড়ায় বিয়াম মডেল স্কুল ও কলেজের ৮ শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানের এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক শহরের লতিফপুর এলাকার টিএম মামুন বাদি হয়ে বগুড়া সদর থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার আসামিরা হলেন- ওই প্রতিষ্ঠানের সহকারী শিক্ষক (বাংলা) মো. আব্দুর রাজ্জাক, সহকারী শিক্ষক (ইংরেজি) মো. শহিদুল ইসলাম, সহকারী শিক্ষক (রাষ্ট্রবিজ্ঞান) মাহবুবুর আলম টুটুল, সহকারী শিক্ষক (ইসলাম শিক্ষা) মোহাম্মদ ইসরাফিল হোসেন, সহকারী শিক্ষক (আইসিটি) মো. জহুরুল ইসলাম, সহকারী শিক্ষক (সাধারণ শিক্ষক) মো. আবু হানিফ, সহকারী অধ্যাপক (গণিত) মো. শফিকুল ইসলাম, প্রভাষক (বাংলা) মো. আনিসুজ্জামান। এ ছাড়া ওই মামলায় অজ্ঞাত আরও ৪০-৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
গত শনিবার (৩ মে) দায়ের হওয়া মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, ওই প্রতিষ্ঠানের গার্ড মাসুদ রানাকে বদলির ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত ২৮ এপ্রিল বেলা সাড়ে ১১টায় ওই আসামিগণসহ অজ্ঞাতনামা আসামিরা হাতে লাঠিসোটা ও লোহার রডসহ দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে দলবদ্ধ হয়ে বিয়াম মডেল স্কুল ও কলেজ মাঠে প্রবেশ করে তিনটি স্কুল বাস ভাঙচুর করাসহ প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের ভয়-ভীতি দেখিয়ে ত্রাসের সৃষ্টি করে। এ সময় শিক্ষার্থীরা ভয়ে দৌড়াদৌড়ি করলে আসামিরা সংঘবদ্ধ হয়ে কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীদের আত্মরক্ষায় বাধা দিয়ে তাদের চড়-থাপ্পড় ও কিলঘুষি মেরে জখম করে।
বাসচালক ও তাদের সহযোগীরা এগিয়ে এলে আসামিরা তাদেরও মারধর করে জখম করে। আসামিরা হত্যার উদ্দেশ্যে ভয়-ভীতি প্রদর্শন এবং বেআইনিভাবে বল প্রয়োগ করে লাঠিসোটা ও দেশীয় অস্ত্রসহ হামলা করে ওই প্রতিষ্ঠানের বাসচালক ওয়াজেদ আলী, আব্দুল মান্নান এবং নূরু মিয়াকে গুরুতর জখম করেন। এ সময় বাদি টিএম মামুনের স্কুল পড়ুয়া সন্তানসহ অনেক শিক্ষার্থী আঘাতপ্রাপ্ত হয়।
বিষয়টি বিয়াম মডেল স্কুল ও কলেজ কর্তৃপক্ষকে জানালে এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে আসামিরা বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি দেখিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
এদিকে রোববার বিয়াম মডেল স্কুল ও কলেজ জাতীয়করণসহ ৭ দফা দাবি সম্বলিত একটি স্মারকলিপি বগুড়া জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টাসহ শিক্ষা উপদেষ্টা এবং শিক্ষা সংশ্লিষ্ট অন্যান্য দপ্তরে পাঠিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
মন্তব্য করুন