ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলার দেড় লাখ মানুষের চিকিৎসাসেবার একমাত্র ভরসাস্থল ৫০ শয্যাবিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। ২০১৯ সালে উপজেলাবাসীর উন্নত স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের লক্ষ্যে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয়।
কিন্তু সে অনুযায়ী দেওয়া হয়নি প্রয়োজনীয় সংখ্যক চিকিৎসক ও জনবল। বর্তমানে চিকিৎসক ও জনবল সংকটের কারণে হাসপাতালটিতে মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে চিকিৎসাসেবা কার্যক্রম।
এতে উপজেলার দূরদূরান্ত থেকে আসা রোগীদের পোহাতে হচ্ছে চরম দুর্ভোগ। ফলে চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন এ উপজেলার হতদরিদ্র মানুষ।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, এখানে কনসালটেন্ট ও মেডিকেল অফিসারের ১৫ পদে কর্মরত রয়েছেন মাত্র দুজন। এ ছাড়া নার্স ও মিডওয়াইফ ৩১ পদ থাকলেও কর্মরত আছেন ১২ জন। প্যাথলজিস্ট পদে দুটি পদই শূন্য রয়েছে এবং তৃতীয় শ্রেণির ৬৬টি পদের বিপরীতে শূন্য রয়েছে ২৯টি।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটির একদিকে যেমন জনবল সংকট, অন্যদিকে রয়েছে সরঞ্জাম ও টেকনেশিয়ানের সংকট। লোকবলের অভাবে অপারেশন থিয়েটার, এক্স-রে, ইসিজি আল্ট্রাসনোগ্রাম মেশিনগুলো পড়ে আছে অচলাবস্থায়।
চিকিৎসা নিতে আসা মো. জসিমসহ কয়েকজন জানান, জেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি দূরে হওয়ার কারণে এখানে বাধ্য হয়ে চিকিৎসাসেবা নিতে হচ্ছে। আর সে কারণে অনেক রোগীকে থাকতে হচ্ছে ঝুঁকির মধ্যে। এ ছাড়া হাসপাতালটিতে এক্স-রে, আল্ট্রাসনোগ্রাফ মেশিন অকেজো থাকায় ও টেকনিশিয়ানের অভাবে অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষা বাইরে থেকে করাতে হয় এখানে ভর্তিকৃত রোগীদের। এতে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন সেবা নিতে আসা রোগীরা।
হাসপাতালে কর্তব্যরত সিনিয়র নার্স মিশু দত্ত জানান, নার্স, ডাক্তার ও জনবল সংকটের কারণে ওয়ার্ডে রোগীদের কাঙ্ক্ষিত সেবা প্রদান করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের। তারপরও ভর্তিকৃত রোগীদের চিকিৎসাসেবা প্রদানে চেষ্টা করছেন তারা।
তজুমদ্দিন উপজেলা স্বাস্থ্য ও প প কর্মকর্তা ডা. রাহাত হোসেন জানান, চিকিৎসক ও জনবল সংকটের কারণে হাসপাতালের বহির্বিভাগ ও আন্তঃবিভাগের প্রতিদিন দুই থেকে আড়াইশ রোগীর মানসম্মত সেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের। সংকট নিরসনে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করছেন বলে জানান তিনি।
মন্তব্য করুন