কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৬ মে ২০২৫, ০৬:১০ এএম
অনলাইন সংস্করণ

বিয়ের এক বছরে জীবন প্রদীপ নিভু নিভু তরুণীর

অসুস্থ নাজমিন নাহার। ছবি : কালবেলা
অসুস্থ নাজমিন নাহার। ছবি : কালবেলা

বিয়ের ১ বছরের মাথায় জীবন প্রদীপ নিভু নিভু কুড়িগ্রামের ২০ বছর বয়সী তরুণী নাজমিন নাহারের। এমন বয়সে নষ্ট হয়ে গেছে হার্টের দুটি ভালভ। এদিকে স্ত্রীর অসুস্থতা দেখে ছেড়ে গেছে স্বামীও। পিতা হারা তরুণীর নেই উন্নত চিকিৎসার সামর্থ্য। এ অবস্থায় দেশবাসীর সহযোগিতায় বাঁচতে চান তিনি।

সরেজমিনে দেখা গেছে, নিজের অসুস্থতায় ছেড়ে গেছে স্বামী। বিধবা মায়ের ঘরে আশ্রয় নিয়ে ধুঁকে ধুঁকে দিন কাটছে তরুণীর। কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার পাঁচগাছী ইউনিয়নের মৌলভি পাড়া এলাকার মৃত জাবেদ আলী-মর্জিনা বেগম দম্পতির ৮ সন্তানের মধ্যে ৫ম নাজমিন। এক বছর আগে পারিবারিকভাবে রংপুরের বাসিন্দা খালেক নামের এক গার্মেন্টস শ্রমিকের সঙ্গে বিয়ে হয় তার। অভাব অনটনের সংসারের ঘানি টানতে নিজেও ঢাকায় গিয়ে স্বামীর সঙ্গে গার্মেন্টসে কাজ শুরু করেন। কাজ করা অবস্থায় গত ৫ মাস আগে হঠাৎ অসুস্থতা বোধ করলে বাড়িতে ফিরে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হলে পরীক্ষানিরীক্ষায় জানা যায় তার হার্টের দুটি ভালভ নষ্ট হয়ে গেছে।

অসুস্থ নাজমিনের পরিবার জানান, চিকিৎসক জানিয়েছেন- উন্নত চিকিৎসার মাধ্যমে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারবেন তরুণী। আর এতে খরচ হবে প্রায় ৫ লাখ টাকা। এদিকে টাকার অভাবে উন্নত চিকিৎসা করাতে না পারায় অনেকটাই মানবেতর দিন কাটছে পরিবারটির।

অসুস্থ নাজমিন নাহার বলেন, আমার অসুখ দেখে আমার স্বামী ছেড়ে গেছে। আমার বাবাও নাই যে চিকিৎসা করাবে। মায়ের সংসারে অভাব থাকার কারণে আমার দুই ভাই এতিম খানায় থাকে। উন্নত চিকিৎসা তো দূরের কথা, ঠিকমতো ওষুধ কিনে খাইতে পারছি না। তাই বলবো আমার চিকিৎসায় যদি কেউ দায়িত্ব নেয় তার কাছে চির কৃতজ্ঞ থাকবো।

স্থানীয় হাবিবুর রহমান মিন্টু বলেন, মেয়েটার ১ বছর আগে বিয়ে হয়। হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেলে পরীক্ষানিরীক্ষা করে ধরা পড়ে তার হার্টের দুটি ভালভ নষ্ট হয়ে গেছে। এমন অসুস্থ দেখে তার যে স্বামী সেও ছেড়ে যায়। তার এখন চিকিৎসা করতে অনেক টাকার প্রয়োজন। ঠিক মতো তিন বেলা খেতে পারে না পরিবারটি। এতো টাকা কই পাবে তারা। কেউ যদি মেয়েটির চিকিৎসায় পাশে দাঁড়াতো তাহলে মেয়েটা সুস্থ হতো।

নাজমিনের মা মর্জিনা বেগম বলেন, অসুস্থ মেয়ের চিকিৎসা নিয়ে মহা দুশ্চিন্তায় আছি বাবা। স্বামীও নাই যে চিকিৎসা করাবে। জামাই ছিল, মেয়ের অসুখ দেখে ছেড়ে গেছে। কেউ যদি আমার মেয়েটার চিকিৎসার দায়িত্ব নিতো সারাজীবন তার জন্য দোয়া করতাম।

স্থানীয় ইউপি সদস্য আবু বক্কর কালবেলাকে বলেন, অসুস্থ মেয়েকে নিয়ে দিশেহারা নাজমিনের বিধবা মা। তার সুস্থতায় দরকার উন্নত চিকিৎসা। কিন্তু অর্থের অভাবে তা হচ্ছে না। এ জন্য সরকারের পাশাপাশি দেশবাসী সহযোগিতা করলে হয়ত সে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ইরানের কমান্ডার কানি গুপ্তচর কি না, জানাল মোসাদ

যুক্তরাষ্ট্রের হাত ধরেই শুরু হয়েছিল ইরানের পরমাণু কর্মসূচি

চাল না কিনলে জাপানে নতুন করে শুল্কের হুমকি যুক্তরাষ্ট্রের

হলি আর্টিসান হামলার আজ ৯ বছর

সাবেক প্রধানমন্ত্রী কাজী জাফরের ৮৬তম জন্মবার্ষিকী আজ

কারাগারে যেমন কাটছে মমতাজের

পাকিস্তানে একযোগে হামলা চালাতে চায় ভারত-ইসরায়েল

সুনামগঞ্জ-৩ আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করল জমিয়ত

মহররমে বিদআত ও ভ্রান্ত রীতি : যা করণীয়

যশোর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়কের পদত্যাগ

১০

সরকারি চাকরিতে বিপুলসংখ্যক পদ ফাঁকা

১১

দেশের সব ব্যাংকে লেনদেন বন্ধ থাকবে আজ 

১২

০১ জুলাই : কী ঘটেছিল ইতিহাসের এই দিনে

১৩

দুপুরের মধ্যে যেসব জেলায় ঝড়বৃষ্টি হতে পারে

১৪

মঙ্গলবার ঢাকার যেসব এলাকায় মার্কেট বন্ধ

১৫

১ জুলাই : আজকের নামাজের সময়সূচি

১৬

উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিসে তালা দিলেন বৈষম্যবিরোধী নেতারা

১৭

চাকসু ভবনকে ‘ভাতের হোটেল’ ঘোষণা আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের

১৮

৭ দিন ধরে খোঁজ মিলছে না এসএসসি ফলপ্রার্থী রিয়ামনির

১৯

আট মামলার আসামিকে গুলির পর কুপিয়ে হত্যা

২০
X