ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলায় ভুট্টার বাম্পার ফলনে এবার খুশি প্রান্তিক কৃষকরা। যে দিকে চোখ যায় শুধু ভুট্টা আর ভুট্টা। এবার প্রতি বিঘা (৩৩ শতক) জমিতে খরচ ধরা হয়েছে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা। আর ফলন হচ্ছে প্রতি বিঘায় ৬০ মণ। এতে অন্যান্য বারের চেয়ে এই মৌসুমে ভুট্টা চাষে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়েছে।
স্বল্প ব্যয়ের মধ্যে অধিক মুনাফা অর্জনকারী ফসল ভুট্টা হওয়ায় উপজেলার কৃষকদের ধান এবং আলু তোলার পর রবি মৌসুমে ভুট্টা চাষে বেশি আগ্রহ কৃষকদের।
উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে ভুট্টা চাষে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৭৫৪০ হেক্টর। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় তা ছাড়িয়ে এখন পর্যন্ত আবাদ হয়েছে ৮১৩০ হেক্টর।
উপজেলার কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, হরিপুরের মাটি ভুট্টা চাষে বেশ উপযোগী হওয়ায় তাদের মধ্যে ভুট্টা আবাদ বেড়েছে। উচ্চফলনশীল ভুট্টার মধ্যে রয়েছে- পাইওনিয়ার, জিত, সম্রাট, জাগুয়ার, পদ্মা-৫৫, বিজয়-৭১, মহান-২১, বাহুবলী ইত্যাদি জাতের ভুট্টা বেশি আবাদ হয়েছে।
লখড়া গ্রামের কৃষক তারেক কালবেলাকে বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আমি ১০ বিঘা জমিতে উচ্চফলনশীল বিভিন্ন জাতের জাতের ভুট্টা আবাদ করেছি। কিছু ভুট্টা মাড়াই করেছি। বাজারেও বেশ ভালো দাম আছে। প্রতিমণ (৪০ কেজি) ভুট্টা বিক্রি হচ্ছে ৮৫০ থেকে ৯০০ টাকা। কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা না দিলে, আমি এবার ভালো ফলন পাব।
আমগাঁও গ্রামের আবু সাঈম বলেন, আগাম জাতের ধানকাটার পর আমি ১৫ বিঘা জমিতে ভুট্টার আবাদ করেছি। আশা করছি ভালো ফলন হবে এবং সেই সঙ্গে ভালো দামও পাব।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রুবেল হুসেন বলেন, এই বছর উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের ১৩শ’ জন প্রান্তিক কৃষককে ভুট্টা চাষের জন্য বিনামূল্যে বীজ ও সার দেওয়া হয়েছে। ভুট্টার বাম্পার ফলন হয়েছে। ভুট্টা চাষে মাঠ পর্যায়ে গিয়ে কৃষকদের সার্বক্ষণিক কৃষিবিষয়ক সেবা ও পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল।
মন্তব্য করুন