বরগুনার আমতলীতে কবিরাজির মাধ্যমে সব রোগের চিকিৎসার নামে গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলের অশিক্ষিত সাধারণ মানুষের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক দম্পতির বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় বীথি আক্তার (৩০) ও তার স্বামী মো. বাবুল মিয়াকে আটক করেছে আমতলী থানা পুলিশ।
বুধবার (৭ মে) তাদের আটক করা হয়।
এই প্রতারক দম্পতির বাড়ি তালতলী উপজেলার হাড়িপাড়া গ্রামে। তবে বীথি আক্তারের পিতার বাড়ি আমতলী উপজেলার আড় পাঙ্গাশিয়ার ঘোপখালী গ্রামে।
জানা যায়, গত দুই বছর ধরে কবিরাজির মাধ্যমে সব রোগের চিকিৎসার নামে এই দম্পতি সাধারণ মানুষের কাছে থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে হঠাৎ করে উধাও হয়ে যান। বুধবার সকালে বীথি আক্তার ও তার স্বামীকে আমতলী থানার সামনে দেখতে পান আমতলী সদর ইউনিয়নের ছোট নীলগঞ্জ গ্রামের ভুক্তভোগী মো. সুমন। পরে স্থানীয় লোকজনকে সঙ্গে নিয়ে সুমন- বীথি ও বাবুলকে আটক করে আমতলী সদর ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে যান।
এ খবর পেয়ে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের শতাধিক ভুক্তভোগী সদর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে ছুটে যান। ভুক্তভোগীরা মারমুখী হওয়ায় আমতলী সদর ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান গোলাম মহিউদ্দিন আমতলী থানায় খবর দিলে পুলিশ গিয়ে বীথি ও বাবুল দম্পতিকে থানায় নিয়ে যায়।
ভুক্তভোগী তাসলিমা বেগম, খাদিজা বেগম, লায়লা বেগম, বজলু গাজি, হেলেনা, আজিজুল, তামান্না, শিরিনা, সাবিনা, গনি খলিফা, আলাল উদ্দিন, বেবি বেগম ও ছাহেরা খাতুনসহ শতাধিক ভুক্তভোগী জড়ো হন।
ভুক্তভোগী বজলুর রহমান বলেন, আমার নাতি জন্ম থেকে বাক-প্রতিবন্ধী, তাকে কথা বলিয়ে দেওয়ার কথা বলে ১৫ হাজার টাকা নিয়েছে।
ভুক্তভোগী শিরিনা বলেন, আমার একটি সমস্যা সমাধানের কথা বলে ২০ হাজার টাকা নিয়েছে।
এভাবে ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে বিভিন্ন রোগের সমাধানের কথা বলে সর্বনিম্ন ৫ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত নিয়েছেন এ দম্পতি।
জনতার হাতে আটক বীথি আক্তার ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, তারা আমাকে খুশি হয়ে কিছু টাকা দিয়েছেন।
এ বিষয় আমতলী থানার এসআই মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে বীথি ও বাবুল দম্পতিকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।
আমতলী থানার ওসি মো. আরিফুল ইসলাম কালবেলাকে বলেন, ভুক্তভোগীরা অভিযোগ দিলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন