যশোরের কেশবপুরে চিহ্নিত সন্ত্রাসী যুবলীগ কর্মী জামাল উদ্দিনের (৩৪) ধানের গোলাঘর পরিষ্কার করতে গিয়ে গোলাঘরে পাওয়া গেছে ককটেল। পরে তা ফেলতে গিয়ে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে শাহানারা বেগম (৫০) নামে এক নারী শ্রমিক আহত হয়েছেন।
বুধবার (৭ মে) সকালে পৌরসভার মধ্যকুল এলাকার ওই যুবলীগ নেতার বাড়িতে এ ঘটনাটি ঘটে।
এসময় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। আহত নারী শ্রমিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
জামাল উদ্দিন পৌর যুবলীগের সক্রিয় কর্মী ও মধ্যকুল এলাকার আব্দুল গণি শেখের ছেলে। আহত নারী শ্রমিক শাহানারা বেগম মধ্যকুল এলাকার শামসুর রহমানের স্ত্রী।
কেশবপুর থানা পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, বুধবার সকালে যুবলীগ কর্মী ও ১৫ মামলার আসামি জামাল উদ্দিনের বাড়ির ধানের গোলাঘর পরিষ্কার করার সময় লাল কসটেপ মোড়ানো একটি বস্তু দেখতে পান নারী শ্রমিক শাহানারা বেগম। এসময় তিনি ওই বস্তুটি (ককটেল) বাইরে ফেলে দিলে বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয় এবং তিনি আহত হন। পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
এলাকাবাসী জানায়, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে যুবলীগ নেতা জামাল উদ্দিন একটি সন্ত্রাসী বাহিনী গড়ে তুলে অপহরণ, চাঁদাবাজি, মারামারিসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজে লিপ্ত ছিল। তার ওই বাহিনীর নাম দেওয়া হয়েছিল ‘জামাল বাহিনী’। বর্তমানে তিনি এলাকায় নেই।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. আলমগীর কালবেলাকে বলেন, চিকিৎসাধীন শাহানারা বেগমের শারীরিক অবস্থা শঙ্কামুক্ত।
কেশবপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) খান শরীফুল ইসলাম কালবেলাকে বলেন, ডিএসবির তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী জামালের বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। জামালের বিরুদ্ধে থানায় অপহরণ, চাঁদাবাজি, মারামারিসহ বিভিন্ন অপরাধের ১৫টি মামলা রয়েছে।
মন্তব্য করুন