গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর বলেছেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানকে কেউ কেউ তারা তাদের রাজনৈতিক ধান্দাবাজির হাতিয়ারে পরিণত করতে চাচ্ছে। আমরা পরিষ্কার করে বলে দিতে চাই- জুলাই কারও বাপ-দাদার সম্পত্তি না। জুলাই এ দেশের সব শ্রেণি-পেশার মানুষ, আপামর জনসাধারণের লড়াই সংগ্রামের ফল।
শুক্রবার (১৬ মে) সন্ধ্যায় নরসিংদী শহরের পৌর ঈদগাহ মাঠে গণঅধিকার পরিষদ নরসিংদী জেলার উদ্যোগে আয়োজিত সাম্য, মানবিক, মর্যাদা ও ন্যায়বিচারের নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
নুর বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে ১৬ বছরের একদলীয় ফ্যাসিস্ট শাসনের অবসান হয়েছে। এই জুলাইয়ের আন্দোলনে রাজনৈতিক দল, ছাত্র নেতাদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষ রাজপথে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। নিজেদের জীবন উৎসর্গ করে ফ্যাসিস্ট হাসিনার হাত থেকে দেশকে স্বাধীন করেছে। গত ১৬ বছরে স্কুল-কলেজ থেকে শুরু করে সচিবালয়সহ এমন কোনো প্রতিষ্ঠান নেই যেখানে দলীয়করণ করা হয়নি। প্রতিটি জায়গায় দলীয়করণ করে দেশটাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। এমনকি আমাদের মাঝে যে সম্প্রীতি ছিল, সে সামাজিক এবং রাজনৈতিক সম্প্রীতি কেড়ে নিয়ে নরকের বাংলাদেশ হিসেবে পরিণত করেছিল।
তিনি বলেন, গত আন্দোলনের সময় ইন্টারনেট বন্ধ করে ফ্যাসিবাদী সরকারের অত্যাচার-নির্যাতন আড়াল করে রাখার চেষ্টা করেছে। ভবিষ্যতে যেন সরকার নির্বাচিত হলে, তারা যেন ক্ষমতায় থাকার জন্য পুলিশ প্রশাসনকে নিজেদের দলীয়করণসহ নিজেদের বাহিনী হিসেবে গড়ে তুলতে না পারে। প্রশাসনকে একটি জবাবদিহিতামূলক প্রশাসক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। পুলিশ প্রশাসনসহ গোটা প্রশাসন প্রমোশনের জন্য কোনো রাজনৈতিক নেতার পেছনে ঘুর ঘুর করতে না হয়। তারা তাদের মেধা, দক্ষতা, পেশাদারিত্বের মাধ্যমে যেন পদোন্নতি পায় সে জন্য একটি কমিশন থাকতে হবে।
গণঅধিকার পরিষদ নরসিংদী জেলার সাবেক সভাপতি নান্নু মিয়ার সভাপতিত্বে গণসমাবেশে উপস্থিত ছিলেন- গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খাঁন, মুখপাত্র ও সিনিয়র সহসভাপতি ফারুক হাসান, বিদুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন, শ্রমিক অধিকার পরিষদের সভাপতি আবদুর রহমান, ছাত্র অধিকার পরিষদের সহসভাপতি কাউসার আলী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নীলা শেখসহ জেলা ও উপজেলার নেতারা।
মন্তব্য করুন