কুড়িগ্রামে সম্পূর্ণ মেধা ও যোগ্যতার মাপকাঠিতে ১২০ টাকা আবেদন ফি দিয়ে পুলিশে চাকরি পেয়েছেন ২৯ জন। কনস্টেবল পদে চাকরি পাওয়া এসব নারী-পুরুষদের নিয়ে মতবিনিময় সভা করেছেন জেলা পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুর রহমান।
শনিবার (১৭ মে) কুড়িগ্রাম পুলিশ লাইন্স মাল্টিপারপাস ড্রিলশেডে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।
মতবিনিময় সভায় চাকরি পাওয়া ২৯ জন প্রার্থীদের পুলিশ লাইন্সে নিয়ে আলোচনা করা হয়। এসময় শতভাগ মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে নিয়োগ পাওয়া ২৯ জন উত্তীর্ণ প্রার্থীর অনেকে তাদের মতামত প্রকাশের সময় আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন, পাশাপাশি অনেকে আনন্দে কান্না শুরু করেন।
এসব প্রার্থীর মধ্যে অনেকেই রিকশাচালকের সন্তান, কারো পিতা দরিদ্র কৃষক, কারো পিতা ঘোড়া গাড়িচালক, মাঝি এবং অনেকেই অত্যন্ত দরিদ্র পরিবার থেকে উঠে আসা মেধাবী সন্তান। তারা শতভাগ স্বচ্ছতা, মেধা ও নিজ যোগ্যতায় চাকরি পেয়ে নিয়োগ সংশ্লিষ্ট সবাইকে ও বাংলাদেশ পুলিশের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। এসময় জেলার গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার (১৫ মে) রাতে পুলিশ লাইন্স মাল্টিপারপাস ড্রিলশেডে কনস্টেবল পদে চাকরি চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করা হয়।
পুলিশ সুপার ও টিআরসি নিয়োগ বোর্ডের সভাপতি মো. মাহফুজুর রহমান উপস্থিত সবার সামনে ২৯ জন নারী-পুরুষকে কনস্টেবল নির্বাচিত করেন। পরে সবাইকে শুভেচ্ছা জানান।
এবার ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল পদে ২৯ জনের বিপরীতে প্রিলিমিনারি স্ক্রিনিং শেষে ১ হাজার ৮শ ৩৫ জন প্রার্থী শারীরিক মাপ ও শারীরিক সক্ষমতা যাচাই পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ পান। শারীরিক মাপ ও শারীরিক সক্ষমতা যাচাই শেষে ৫শ ৮১ জন লিখিত পরীক্ষা অংশগ্রহণ করে। এবং লিখিত পরীক্ষায় ১শ ১৪ জন প্রার্থী উত্তীর্ণ হয়ে মনস্তাত্ত্বিক ও মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। তারমধ্যে চূড়ান্তভাবে মেধায় ২৯ জনকে নির্বাচিত করে কুড়িগ্রাম জেলা টিআরসি নিয়োগ বোর্ড।
পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুর রহমান বলেন, সম্পূর্ণ মেধা ও যোগ্যতার মাধ্যমে সকল ইভেন্টে কৃতকার্য প্রার্থীদের লিখিত, মনস্তাত্ত্বিক ও মৌখিক পরীক্ষার প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে মেধাক্রম অনুযায়ী ২৯ জন উত্তীর্ণ প্রার্থীকে চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত করা হয়েছে। চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণদের অভিনন্দন জানিয়ে সততা, নিষ্ঠা ও পেশাদারিত্বের সাথে দেশসেবার মনোভাব নিয়ে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে কাজ করার জন্য বলেন তিনি।
মন্তব্য করুন