সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুরে যমুনা নদীর তীরে ভেড়ানো বেওয়ারিশ সেই ট্যাগবোট জাহাজটির মালিকের সন্ধান পাওয়া গেছে। এটি যমুনা রেলসেতুর কাজে ভাড়া নেওয়া হয়েছিল।
সেখান থেকে জাহাজটি চুরি হয়। চুরির অভিযোগে নৈশ প্রহরীসহ তিনজনের বিরুদ্ধে টাঙ্গাইলের কালিহাতী থানায় মামলা হয়েছে।
রোববার (১৮ মে) বিকেলে কালিহাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাকির হোসেন কালবেলাকে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ওসি বলেন, যমুনা সেতুর পূর্ব প্রান্ত থেকে ট্যাগবোট জাহাজ চুরির ঘটনায় মেসার্স এম নাসির অ্যান্ড কোম্পানির ম্যানেজার (অপারেশন) সুমন সাহা বাদী হয়ে তিনজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন। শনিবার রাতে মামলাটি এজাহারভুক্ত করা হয়েছে। মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
মামলার প্রধান আসামি জাহাঙ্গীর আলম টাঙ্গাইলের কালিহাতী থানার গরিলাবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা। বাকি দুজন তার সহযোগী।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ‘এম টি আনোয়ারা নাসির-২’ নামের নৌযানটি তিনতলা বিশিষ্ট একটি পুরোনো টাগবোট। গত ২ মে জাহাজটি এনায়েতপুর স্পার বাঁধের ৫শ গজ দক্ষিণে দেখা যায়। দুয়েকদিন পর ১০-১৫ জনের একটি চক্র লোহা কাটার যন্ত্র নিয়ে এর ওপরের অংশ এবং ইঞ্জিনটি কেটে নৌকা ভর্তি করে নিয়ে যায়।
বিষয়টি পুলিশ জানার পর তারা আর আসেনি। দুই সপ্তাহ পর বৃহস্পতিবার জাহাজটির মালিকের সন্ধান পাওয়া যায়। মালিকানা প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রামের মেসার্স এম নাসির অ্যান্ড কোম্পানির পক্ষ থেকে থানায় যোগাযোগ করলে পুলিশ নিশ্চিত হয় এটি তাদের জাহাজ।
মেসার্স এম নাসির অ্যান্ড কোম্পানির ম্যানেজার (অপারেশন) সুমন সাহা জানান, চাঁদগাঁও এলাকার বাসিন্দা মো. নাসির উদ্দিনের ১০/১২টি জাহাজ রয়েছে। এমটি আনোয়ারা নাসির-২ জাহাজটি যমুনা রেলসেতু বাস্তবায়নকারী সাব-ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান টিএলএনকে ভাড়া দেওয়া হয়েছিল। সেতুর কাজ শেষে ওই কোম্পানি চলে যায়।
এরপর যমুনায় নাব্যতা সংকটের কারণে জাহাজটি নদীর পূর্বপাড়ে ভিড়িয়ে রাখা হয়। জাহাজটি দেখাশোনার জন্য নৈশ প্রহরী জাহাঙ্গীরকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। তিনি বলেন, জাহাজটির মূল্য আনুমানিক সাড়ে তিন কোটি টাকা। ইতিমধ্যে এর ৫৫ থেকে ৬০ লাখ টাকার যন্ত্রাংশ চুরি করে নেওয়া হয়েছে।
মালিক মো. নাসির উদ্দিনের ছেলে শাহেদ নাসির বলেন, জাহাজটি দেখাশোনার জন্য গার্ড জাহাঙ্গীরকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। সে আমাদের বলেছিল জাহাজ ঠিকঠাক আছে। কিন্তু গার্ড জাহাঙ্গীর অন্য কারও সঙ্গে যুক্ত হয়ে এটা চুরি করেছে। পরবর্তীতে আমরা বিষয়টি জানতে পেরে থানায় মামলা দায়ের করেছি।
মন্তব্য করুন