ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় ইকরাম হোসেন (১৪) নামে সপ্তম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রের রহস্যজনক মরদেহ উদ্ধার করেছে নবীনগর থানা পুলিশ।
শনিবার (২৬ আগস্ট) বিকেলে ময়নাতদন্ত শেষে গ্রামের কবরস্থানে ইকরাম হোসেনের মরদেহ দাফন করা হয়।
এর আগে শুক্রবার (২৫ আগস্ট) উপজেলার কাইতলা দক্ষিণ ইউনিয়নের গোয়ালি গ্রামের একটি গাছ থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত ইকরাম হোসেন গোয়ালি গ্রামের আলেব খাঁর ছেলে। সে কাইতলা যজ্ঞেশ্বর উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র।
নিহতের বাবা আলেব খাঁ বলেন, শনিবার সকাল ১০টার দিকে গরুর জন্য ঘাস আনতে বের হয় ইকরাম। দুপুর ১২টার দিকে লোকজনের কাছে শুনতে পাই ইকরামকে একটি গাছের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখা গেছে। ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি, ছেলের মরদেহ রশিতে ঝুলছে। তবে ঝুলন্ত অবস্থায় ইকরামের দুটি পা হাঁটু ভাঙা অবস্থায় মাটিতে লেগে ছিল।’
ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, ‘আমার স্কুলপড়ুয়া ছেলে কোনোভাবেই আত্মহত্যা করতে পারে না। তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। সঠিক তদন্ত করে এর সুষ্ঠু বিচার চাই।’
কাইতলা দক্ষিণ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি বিএম পলাশ বলেন, ‘মাটিতে হাঁটু লেগে থাকা ঝুলন্ত অবস্থায় যেভাবে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়েছে, তাতে এটি আত্মহত্যা নাকি হত্যা এ নিয়ে গ্রামে বেশ আলোচনা হচ্ছে।’
এ বিষয়ে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নবীনগর সার্কেল) সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে স্কুলছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় একটি ইউডি মামলা হয়েছে। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে হত্যার কোনো আলামত পাওয়া গেলে এটি হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হবে।’
মন্তব্য করুন