মুন্সিগঞ্জের টঙ্গীবাড়ীতে নিখোঁজের দুদিন পর হোসাইন নামে দ্বিতীয় শ্রেণির এক স্কুলশিক্ষার্থীর মরদেহ জঙ্গল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় প্রতিবেশী এক কিশোরকে আটক করেছে পুলিশ।
রোববার (২৫ মে) সকালে উপজেলার ধিপুর ইউনিয়নের পলাশপুর পেশকারবাড়ি-সংলগ্ন একটি জঙ্গল থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত হোসাইন টঙ্গিবাড়ী উপজেলার ডুলিহাটা গ্রামের জুয়েল মিয়ার ছেলে। সে আড়িয়ল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার বিকেলে খেলতে বের হয় হোসাইন। কিন্তু সন্ধ্যার পরেও বাড়ি না ফিরলে পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি শুরু করে। একপর্যায়ে তারা জানতে পারে, প্রতিবেশী মাহিমের (২০) সঙ্গে তাকে বাইসাইকেলে ঘুরতে দেখা গেছে।
সেই সূত্র ধরে মাহিমকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে স্বীকার করে, হোসাইনকে হাত-পা বেঁধে শ্বাসরোধে হত্যা করেছে এবং মরদেহ জঙ্গলে ফেলে রেখেছে। পরে বিষয়টি পুলিশকে জানানো হলে তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। তার দেখানো স্থান থেকে রোববার সকাল ৯টার দিকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয়রা জানান, আরিয়ান (মাহিম) এলাকায় বিভিন্ন সময় সাধারণ মানুষকে উত্ত্যক্ত করত। এলাকায় চুরির সঙ্গে জড়িত ছিল সে। বিভিন্ন সময় আরিয়ানের মায়ের কাছে হোসাইন বিচার দিত। বিচার দেওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে এ হত্যার ঘটনা ঘটেছে।
টঙ্গীবাড়ি থানার ওসি মো. মুহিদুল ইসলাম বলেন, শিশু হত্যায় জড়িত সন্দেহে একজনকে আটক করেছি। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন