শেরপুরে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু এবং পানিসম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের গাড়িবহরের সঙ্গে থাকা সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বুধবার (২৮ মে) দুপুরে আসামিদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এর আগে মঙ্গলবার (২৭ মে) গভীররাতে নালিতাবাড়ি পৃথক এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার দুজন হলেন- উপজেলার নয়াবিল ইউনিয়নের দাওধারা গ্রামের আব্দুল মালেকের ছেলে ইসমাইল হোসেন (৪৪) ও কাটাবাড়ি গ্রামের বিল্লাল হোসেনের ছেলে হাসেম আলী (৩৫)।
পুলিশ জানায়, উপজেলার পাহাড়ি এলাকার পর্যটনকেন্দ্র গড়ে তোলার সম্ভাব্যতা যাচাই করতে গত সোমবার বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান পরিদর্শনে আসেন। পরিদর্শন শেষে ফেরার সময় কিছু মানুষ বহরের সঙ্গে থাকা সাংবাদিকদের ওপর হামলা চালালে ছয়জন আহত হন। এ নিয়ে এখন টিভি ও বাসসের শেরপুর জেলা প্রতিনিধি জাহিদুল খান সৌরভ বাদী হয়ে মঙ্গলবার রাতে অভিযোগ দায়ের করেন। এতে উপজেলার নয়াবিল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমানকে প্রধান আসামি করে ১৪ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার বিকেলে সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনাস্থল উপজেলার সীমান্তবর্তী দাওধারা গারো পাহাড় পর্যটন এলাকা পরিদর্শন করেছেন ময়মনসিংহ রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি আবুবক্কর সিদ্দিক। তিনি এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে খোঁজখবর নেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন তার সঙ্গে শেরপুরের পুলিশ সুপার মো. আমিনুল ইসলাম ও নালিতাবাড়ি থানার ওসি মো. সোহেল রানা উপস্থিত ছিলেন।
নালিতাবাড়ি থানার ওসি মো. সোহেল রানা বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গ্রেপ্তার দুজনকে বুধবার দুপুরে শেরপুর আদালতে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করতে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা আমাকে নির্দেশনা দিয়েছেন। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
উল্লেখ্য, সোমবার (২৭ মে) নালিতাবাড়ির দাওধারা এলাকায় বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রেজওয়ানা হাসানের গাড়ি বহরের পেছনে থাকা সাংবাদিকদের ওপর সন্ত্রাসী হামলা চালালে এখন টিভির সাংবাদিক সৌরভ, ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভির সাংবাদিক মেরাজ উদ্দিন, সময় টিভির চিত্র সাংবাদিক বাবু চক্রবর্তী, বাংলা টিভির সাংবাদিক নাঈম ইসলামসহ ছয় সাংবাদিক আহত হন।
মন্তব্য করুন