বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে ফেনীতে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৫৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে, যা চলতি মৌসুমে একদিনে সর্বোচ্চ বৃষ্টির পরিমাণ।
শুক্রবার (৩০ মে) সকালে ফেনী আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মজিবুর রহমান কালবেলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন
তিনি জানান, বৃহস্পতিবার (২৯ মে) সকাল ৬টা থেকে শুক্রবার (৩০ মে) সকাল ৬টা পর্যন্ত এ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। নিম্নচাপের প্রভাবে শনিবার পর্যন্ত জেলাজুড়ে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে।
এদিকে টানা ভারি বৃষ্টির কারণে জেলায় অস্বাভাবিক জোয়ার ও নদীতে তীব্র স্রোতের সৃষ্টি হয়েছে। এতে সোনাগাজী উপজেলার উপকূলীয় চারটি ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়ে জনজীবনে দুর্ভোগ বয়ে এনেছে। জেলায় বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা নিজাম উদ্দিন বলেন, ২৪-এর ভয়াবহ বন্যায় মুছাপুর ক্লোজার ভেঙে যাওয়ার এতদিন পর এসেও পুননির্মাণ হয়নি। এ জন্য এখন জোয়ারের পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সোনাগাজী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজিয়া হোসেন কালবেলাকে জানান, প্রবল বর্ষণ ও জোয়ারের পানিতে বৃহস্পতিবার দুপুরের পর কয়েক ফুট উচ্চতায় লোকালয়ে পানি ঢোকা শুরু করে। এতে চরচান্দিয়া, চরমজলিশপুর, চরদরবেশ ও বগাদানা ইউনিয়নের কাজিরহাটে নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়। তবে এখন পানি নেমে গেছে। শুক্রবার দুপুর ১২টার পর আবার জোয়ার আসতে পারে। এ বিষয়ে সবাইকে সর্তক করা হয়েছে।
ফেনী জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম কালবেলাকে জানান, জেলায় বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনো বড় ধরনের জানমালের ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। দুর্যোগ কেটে যাওয়ার পর ক্ষয় ক্ষতির পরিমাণ নিরুপন করা যাবে। এ বিষয়ে পরে বিস্তারিত জানানো হবে।
প্রসঙ্গত, গত বছরের জুলাই-আগস্ট মাসে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়ে ফেনী। বিশেষ করে ১৯ আগস্ট থেকে শুরু হওয়া বন্যা ইতিহাসের ভয়াবহতা ছাড়িয়ে যায়। প্রাণহানি ঘটে ২৯ জনের, ক্ষতিগ্রস্ত হয় সড়ক, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ঘরবাড়ি, যানবাহন ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ প্রায় প্রতিটি সেক্টর।
মন্তব্য করুন