বিয়ের খবর জানতে পেরে ক্ষিপ্ত হয়ে প্রেমিকাকে ছুরিকাঘাত করেছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সঞ্জীবন চক্রবর্তী পার্থ। এতে গুরুতর আহত হয়েছেন ওই তরুণী। এরপর নিজেকেও ছুরিকাঘাত করেন অভিযুক্ত যুবক। বর্তমানে দুজনই সিলেটের দুটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) সন্ধ্যায় সুনামগঞ্জ পৌরশহরের হাসননগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহত তরুণী (২৬) প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। অভিযুক্ত সঞ্জীবন চক্রবর্তী পার্থ (২৮) শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র এবং বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি।
পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় পার্থ ও তরুণীর মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তবে সময়ের সঙ্গে সেই সম্পর্ক ভেঙে যায়। এর মধ্যে মেয়েটির অন্যত্র বিয়ের আয়োজন চলছিল। রোববার (১ জুন) তার বিয়ের দিন ধার্য ছিল। এ উপলক্ষে তিনি সুনামগঞ্জ শহরে ভাইয়ের বাসায় ছিলেন।
ঘটনার দিন বিকেলে ভাবির সঙ্গে পার্লারে যাওয়ার পথে পার্থ তাকে অনুসরণ করে হাজির হন। পরে ভুক্তভোগীকে একপাশে ডেকে নিয়ে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যান তিনি। মেয়েটির শরীরে অন্তত ১০টি ছুরির আঘাত রয়েছে বলে জানিয়েছেন তার আত্মীয়রা। এর মধ্যে ৯টি আঘাতই ছিল গভীর। রাতেই সিলেটের একটি বেসরকারি হাসপাতালে তার অস্ত্রোপচার করা হয়। বর্তমানে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
ঘটনার পর পার্থ শহরের ধোপাখালী শশ্মানঘাট এলাকায় গিয়ে নিজ শরীরেও ছুরিকাঘাত করেন। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে পুলিশে খবর দেয়। বর্তমানে তিনিও পুলিশি হেফাজতে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
ভুক্তভোগী তরুণীর পরিবারের সদস্যরা জানান, বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যানের পর থেকেই সঞ্জীবন নানাভাবে হুমকি দিয়ে আসছিলেন। বিষয়টি তার পরিবারকে জানানো হলেও কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মনিবুর রহমান জানান, সঞ্জীবনকে আটক করা হয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
মন্তব্য করুন