বগুড়া ব্যুরো
প্রকাশ : ০১ জুন ২০২৫, ০৭:৩৭ এএম
অনলাইন সংস্করণ

শহীদ আবু সাইদ, মুগ্ধদের দলীয়করণের চেষ্টা চলছে : ডা. জাহিদ

আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক ডা. এ. জেড. এম জাহিদ হোসেন। ছবি : কালবেলা
আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক ডা. এ. জেড. এম জাহিদ হোসেন। ছবি : কালবেলা

বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. এ. জেড. এম জাহিদ হোসেন বলেছেন, ২৪ এর আন্দোলনে শহীদ আবু সাইদ, মুগ্ধদের দলীয়করণ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। আসলে তারা কোন দলের নয়, তারা এদেশের মানুষের জন্য জীবন দিয়েছে।

শনিবার (৩১ মে) বিকেলে বগুড়ায় শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি। জেলা বিএনপির আয়োজনে বগুড়া শহরের শহীদ টিটু মিলনায়তনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

ডা. এ. জেড. এম জাহিদ হোসেন বলেন, আমাদের মনে রাখতে হবে ৪৭ বাদ দিয়ে ৭১ হবে না, ৭১ বাদ দিয়ে ৭৫ হবে না, ৭৫ বাদ দিয়ে ৯০ হবে না, ৯০ বাদ দিয়ে ২৪ হবে না। তাই সকল গুম খুনের বিচার করতে হবে। যারা নির্বিচারে গুলি করে আমাদের ভাই-বোনদের হত্যা করেছে তাদের বিচার করত হবে। সাগর-রুনি হত্যার বিচার দেখতে চাই আমরা।

তিনি আরও বলেন, ষড়যন্ত্র করে বিএনপিকে প্রতিরোধ বা থামিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা মহান আল্লাহ ছাড়া কারও নেই। যারা ষড়যন্ত্র করছেন, হুমকি দিচ্ছেন, মনে রাখবেন বিএনপি জনগণের দল।

অধ্যাপক ডা. জাহিদ বলেন, যত অন্যায়, অনাচারের দল আওয়ামী লীগ। এ দেশে বাকশাল বানিয়ে গণতন্ত্রকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। ৭৫ এ সিপাহি জনতা বিপ্লবের মধ্যে মেজর জিয়া এ দেশকে মুক্তির পথ দেখিয়েছেন। জন্মের পর থেকেই নিজেকে তৈরি করেছেন জিয়াউর রহমান দেশকে নেতৃত্ব দেওেয়ার জন্য। তার কালজয়ী দর্শন সবচেয়ে বড় অবদান হচ্ছে বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ ও জাতীয়তাবাদী দল এবং সর্বশ্রেষ্ঠ অবদান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন জিয়াউর রহমান। দেশকে স্বাবলম্বী করার জন্য মানুষকে আশা জাগিয়েছেন তিনি।

বিএনপির এ নেতা বলেন, বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নেতৃত্বে আজ বিএনপিকে প্রতিরোধ করার ক্ষমতা বা ষড়যন্ত্র করে থামিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা মহান আল্লাহ ছাড়া কারও নেই। বিএনপি পাকিস্তান, বাকশাল, স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছে।

শহীদ জিয়া ১৯৭১ সালের ২৬ এবং ২৭ মার্চ এ দেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন উল্লেখ করে জাহিদ হোসেন বলেন, তিনি এদেশের মানুষকে স্বাধীনতার স্বাদ দিয়েছেন। যখন এদেশে মানুষের বাকস্বাধীনতা হরণ করা হয়েছিল। মাত্র চারটি পত্রিকা রেখে বাকি সব পত্রিকা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। ১৯৭১ সালে জেড ফোর্স গঠন করেছিলেন শহীদ জিয়াউর রহমান। কারণ তিনি জানতেন দেশকে স্বাধীন করতে হলে নিয়মিত বাহিনীকে লড়াই করতে হবে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আরও বলেন, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১১ জন সেক্টর কমান্ডার চাইলেন দেশ পরিচালনা করার। কিন্তু মেজর জিয়া ব্যারাকে ফিরে গিয়ে দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯৬৫ সালের যুদ্ধেও তার অবদান রয়েছে। মাত্র কয়েক বছরে এদেশের মানুষকে স্বপ্ন বাস্তবায়ন করে দেখিয়েছেন। খাল কাটার মধ্যে সারাদেশ ঘুরেছেন। সাধারণ মানুষের মানুষ গণজোয়ার সৃষ্টি করেছিলেন। আজ যারা রেমিট্যান্স নিয়ে কথা বলেন তারা ভুলে গেছে, শহীদ জিয়াউর রহমানের হাতধরে এদেশের মানুষ রেমিট্যান্সযোদ্ধা হওয়া শুরু করেছিল।

বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম বাদশার সভাপতিত্বে শহীদ জিয়াউর রহমানের বর্ণাঢ্য জীবনীর ওপর প্রধান আলোচকের বক্তব্য দেন অধ্যাপক ডা. এ. জেড. এম জাহিদ হোসেন।

জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শহিদ উন নবী সালাম ও কেএম খায়রুল বাসার পরিচালনায় অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপি মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক ডা. মওদুদ হোসেন আলমগীর পাভেল, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ডভোকেট এ কে এম মাহবুবর রহমান ও হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু, নওগাঁ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোহা. হাছানাত আলী।

আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সাবেক সংসদ সদস্য কাজী রফিকুল ইসলাম, আলী আজগর তালুকদার হেনা, জয়নাল আবেদীন চান, মাহবুবর রহমান হারেজ, জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফজলুল বারী বেলাল।

আরও উপস্থিত ছিলেন- জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি এম আর ইসলাম স্বাধীন, মাফতুন আহমেদ খান রুবেল, সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম হেলাল, যুগ্ম সম্পাদক তৌহিদুল আলম মামুন শেখ তাহাউদ্দিন নাহিন, মনিরুজ্জামান মনি, জেলা কৃষকদলের সদস্য সচিব এনামুল হক সুমন, জেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক নাজমা আক্তার, জেলা জিয়া পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ ইউসুফ আলী।

এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন, জেলা যুবদলের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, সাধারণ সম্পাদক আবু হাসান, জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের সভাপতি সরকার মুকুল, সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম শুভ, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি হাবিবুর রশিদ সন্ধান সরকার, সাধারণ সম্পাদক এম আর হাসান পলাশ।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

তিস্তার পানি বৃদ্ধি, ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

‘সন্ত্রাসী’ সাজ্জাদের স্ত্রী আরও ৫ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার

মে মাসে নির্যাতনের শিকার ২০৫ নারী-কন্যা শিশু

বৈঠকে দুই বিষয়ে জোর দিয়েছে জামায়াত

জুলাই সনদের পর নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার দাবি এনসিপির

পাকিস্তানে পরপর ৩টি ভূমিকম্প, শহরজুড়ে আতঙ্ক

ঈদের পর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ

ই-কমার্স-ওটিটিতে কর / ব্যাহত হবে ই-কমার্সের প্রবৃদ্ধি, বাড়বে ডিজিটাল বৈষম্য

৬০০ টাকায় শ্রমিক ভাড়া করে আ.লীগের ঝটিকা মিছিল

১৫ গুণ বাড়তি শুল্কে ব্যাটারি রিকশার নির্মাণ ব্যয় বাড়বে

১০

সমর্থকদের আশ্বস্ত করলেন হামজা

১১

বিছানায় পড়ে ছিল মা ও দুই ছেলের মরদেহ

১২

‘আন্দোলনে জীবন দেয় একজন, স্যুটেড-বুটেড হয়ে ক্ষমতায় বসে আরেকজন’

১৩

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানালেন ক্লাসেন

১৪

চাঁদপুর জেলা আ.লীগ সভাপতি গ্রেপ্তার

১৫

লোকনাথ ব্রহ্মচারীর তিরোধান দিবস মঙ্গলবার

১৬

কোরবানির বর্জ্য পরিষ্কার করতে চসিকের যে সিদ্ধান্ত

১৭

বান্দরবানে পাহাড় ধসের শঙ্কা, আশ্রয় কেন্দ্রে যেতে মাইকিং

১৮

দেশের সব বন্দরের বরাদ্দ কমছে

১৯

১ বছরের সাজা এড়াতে এক যুগ পালিয়ে ছিলেন হাসান

২০
X