বাবা-মায়ের কাছে দোয়া চেয়ে পরীক্ষা দিতে যায় এইচএসসি পরীক্ষার্থী মোছা. সাথী খাতুন। বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার বয়ড়া ট্যাকনিক্যাল অ্যান্ড বিএম কলেজ কেন্দ্রে পরীক্ষা শেষ করে বাড়িতে ফেরে সাথী। বাড়িতে ফিরে মা, মা বলে চিৎকার করেও মা মনুজিলা বেগমের কোনো সাড়া পায় না।
মা মা ডাক শুনে প্রতিবেশী এক চাচি গিয়ে সাথীকে বলে তোমার মাকে রাস্তায় একটি মোটরসাইকেল ধাক্কা দিয়েছে। দৌড়ে গিয়ে রাস্তার পাশে মায়ের রক্তাক্ত নিথর মরদেহ দেখেই জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে সাথী। জ্ঞান ফিরে পেলে সাথী বাবাকে জড়িয়ে ধরে বারবার বলছিল বাবাগো মায়ের হাসিমুখখানা আর দেখা হলো না।
রোববার (২৯ জুন) দুপুর সাড় ১২টার দিকে ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার জোড়গাছা ইউনিয়নের উত্তর বয়ড়া গ্রামে।
নিহত মনুজিলা বেগম ওই গ্রামের মো. শহিদুল ইসলামের স্ত্রী।
এ ব্যাপারে স্থানীয় এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, উত্তর বয়ড়া গ্রামের শহিদুলের মেয়ে সাথী খাতুন এইচএসসি পরীক্ষা দিতে কেন্দ্রে রওনা হয়। মেয়েকে দোয়া করে বিদায় দিয়ে মা মুনজিলা বেগম সোনাতলা যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়ে সোনাতলা-চরপাড়া পাকা রাস্তায় দাঁড়ায়। এ সময় সোনাতলা থেকে দ্রুত গতিতে ছুটে আসা একটি মোটরসাইকেল মুনজিলা বেগমকে সজোরে ধাক্কা দেয়। সঙ্গে সঙ্গে তিনি পাকা রাস্তার ওপর পড়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হন।
পরে এলাকাবাসী মোটরসাইকেলচালক শিবগঞ্জের সৈয়দপুর গ্রামের বজলুর রশিদের ছেলে আশিকুর রহমান আশিককে মোটরসাইকেলসহ আটক করে পুলিশে দেয়। সেসময় নিহতের স্বামী, সন্তান ও আত্মীয়স্বজনের কান্নায় আকাশ-বাতাস ভারী হয়ে ওঠে।
এ বিষয়ে সোনাতলা থানার ওসি মিলাদুন নবী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কালবেলাকে বলেন, সংবাদ পেয়ে এখন আমি ঘটনাস্থলে। এ ব্যাপারে আইনগত বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
মন্তব্য করুন