কুড়িগ্রামের চিলমারীতে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বাড়তে থাকায় আবারো ভাঙন দেখা দিয়েছে। এরইমধ্যে চিলমারী ইউনিয়নের চরশাখাহাতী এলাকার ব্রহ্মপুত্রের ভয়ংকর রূপে তীব্র ভাঙন শুরু হয়েছে। এতে ভিটেহারা হচ্ছে একের পর এক পরিবার।
এরইমধ্যে ৫০টি পরিবার তাদের বসতবাড়ি সরিয়ে নিয়েছেন। এছাড়াও হুমকির মুখে পড়েছে ওই এলাকার শাখাহাতী কমিউনিটি ক্লিনিক, সরকারি স্থাপনা ও আবাদি-জমিসহ অনেক ঘর-বাড়ি।
বুধবার (০৪ জুন) শাখাহাতী এলাকায় দেখা গেছে, স্থানীয়রা তাদের বসতবাড়ি সরিয়ে নিচ্ছন। সকাল থেকে মাথায় করে তাদের ঘরের বিচ্ছিন্ন অংশগুলো নিরাপদ স্থানে নেওয়া হচ্ছে।
স্থানীয়রা বলছেন, ভাঙন রোধে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) কর্তৃপক্ষ ভাঙনরোধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।
জানা গেছে, তিন দিনে ব্রহ্মপুত্রের ভাঙনে শাখাহাতী এলাকার মমিনুল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম, জাবের হোসেন, ছয়নুদ্দীন, রান্জু মিয়া, নূর আলম, রাঞ্জু, সুজা মিয়া, ছফিয়ালসহ আরও বেশ কয়েকজনের বসতভিটা নদী ভাঙ্গনের শিকার হয়েছে। ভাঙনের কবলে পড়েছে মসজিদ, মাদ্রাসা কবরস্থান ও স্থানীয় ব্র্যাক অফিস। এছাড়াও চরম ভোগান্তিতে পড়েছে ৩০০ পরিবার।
স্থানীয় ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম জানান, ৩৫ বছর থেকে আমরা এ চরে বসবাস করে আসতেছি। নদী ভাঙনে মানুষ অসহায় হয়ে পড়েছে। আমি কয়েকজনকে বসবাসের জন্য জমি দিয়েছি। কিন্তু অধিকাংশ মানুষ বসতভিটা হারিয়ে অসহায় হয়ে পড়েছেন, কোথায় ঠাঁই নেবেন এটাই তাদের চিন্তা!
চিলমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার সবুজ কুমার বসাক বলেন, এ সংক্রান্ত মিটিং করা হয়েছে। আর ভাঙনরোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সঙ্গে কথা বলেছি। আপাতত ভাঙন ঠেকানোর জন্য যা করণীয় তা করার চেষ্টা করছে পাউবো।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিবুল হাসান জানান, ভাঙনরোধে আজকে জিও ব্যাগ পাঠানো হবে।
মন্তব্য করুন