

কুড়িগ্রামের রৌমারীতে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের মিথ্যা অপবাদ সইতে না পেরে বিষপান করেছেন ভাইবোন। এ ঘটনায় বোনের মৃত্যু হয়েছে। আর আশঙ্কাজনক অবস্থায় আরেকজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) উপজেলার দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের চর গয়টাপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত তামান্না আক্তার তুলি (২৫) ওই গ্রামের সাইদার হোসেনের মেয়ে। গুরুতর অসুস্থ তার আপন বড় ভাই আনারুল ইসলাম ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ ঘটনায় নিতহের মা সুফিয়া আক্তার বাদী হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গত ৮ বছর আগে উপজেলার দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের ঝগড়ারচর গ্রামের আইনাল মাস্টার ছেলে রাশেদুল ইসলামের সঙ্গে একই ইউনিয়নের খেতারচর গ্রামের পালিত (দত্তক) বাবা মজারত হোসেনের মেয়ে তামান্না আক্তার তুলির বিয়ে হয়। আর্থিক অনটনের অভাবে স্বামী-স্ত্রী উভয় ঢাকার একটি গার্মেন্টসে কাজ করেন। পরে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বনিবনা না হওয়ায় তামান্না তার গ্রামের জন্মদাতা বাবা সাইদার হোসেনের বাড়িতে চলে যান।
এদিকে তামান্না আক্তার তুলির স্বামী এবং তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন মিলে আপন বড়ভাইয়ের সঙ্গে পরকীয়া অভিযোগ তোলেন। পরে অপবাদ সইতে না পেরে ভাই-বোন বিষপান করেন। তাদের বিষপান অবস্থায় রৌমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে বোনের মৃত্যু হয়। ভাইকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়।
নিহতের বড় বোন শাহিনা আক্তার বলেন, আমার ভাই ও বোনের নামে তার স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির লোকজন মিথ্যা অপবাদ দেওয়ায় তারা বিষপান করেছে। এর বাইরে আমি কিছু জানি না।
নিহত তামান্নার শ্বশুর আইনাল মাস্টার বলেন, আমার ছেলের বউ বিষপান করে মৃত্যুর বিষয় শুনেছি। তবে কী কারণে বিষপান করেছে তা জানি না।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে নিহত তুলির স্বামী রাশেদুল ইসলামের ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরটি বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে রৌমারী থানার ওসি কাওসার আলী কালবেলাকে বলেন, নিহতের লাশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে সুরতহাল শেষে রৌমারী থানায় নেওয়া হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য কুড়িগ্রাম মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। এ বিষয়ে আইনি প্রক্রিয়া চলমান।
মন্তব্য করুন