পঞ্চগড় সীমান্তে রাজু ইসলাম (২৯) নামে এক বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়েছেন। স্থানীয়দের অভিযোগ, সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে তার মৃত্যু হয়েছে। যদিও বিষয়টি অস্বীকার করছে বিজিবি ও বিএসএফ। তবে মরদেহের সুরতহালে তার দুই পায়েই গুলির ক্ষতচিহ্ন পেয়েছে পুলিশ।
শনিবার (১৪ জুন) রাত ৩টায় সদর উপজেলায় হাড়িভাষা ইউনিয়নের জুলিপাড়া সীমান্তে এ ঘটনা ঘটে। নিহত রাজু ইসলাম ওই এলাকার আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, শনিবার রাতে সীমান্ত এলাকা থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় রাজুকে বাড়িতে নিয়ে আসে। পরে সেখান থেকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথেই তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা। একই সঙ্গে বিজিবির ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তারা।
হাড়িভাসা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাইয়েদ নূর-ই-আলম বলেন, এটা স্পষ্ট যে বিএসএফের গুলিতে রাজুর মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু কেন জানি বিষয়টি নিয়ে লুকোচুরি করছে বিজিবি ও তার পরিবার। তার দুই পায়ে গুলির স্পষ্ট ক্ষত থাকার পরও তারা বলছে হার্ট অ্যাটাকে মারা গেছে। এর আগেও এই সীমান্তে একাধিক ব্যক্তি বিএসএফের গুলিতে মারা গেছে। এখানে কিছু অংশ কাঁটাতারের বেড়া না থাকায় চোরাকারবারিরা গরু আনতে এই পথ ব্যবহার করে।
পঞ্চগড় সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শইমী ইমতিয়াজ বলেন, এটা নিশ্চিত যে ওই যুবক গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন। আমরা তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছি। এ ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে।
নীলফামারী ৫৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল শেখ মোহাম্মদ বদরুদ্দোজা বলেন, গত রাতে ওই সীমান্তে কোনো গুলির ঘটনা ঘটেনি। আমরা বিএসএফের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি তারাও বিষয়টি অস্বীকার করেছে। গুলির ঘটনা ঘটলে বিকট শব্দ হয়, অনেক দূর পর্যন্ত শোনা যায়।
তিনি বলেন, আমাদের দুটি দল সীমান্তে মোতায়েন ছিল তারা কোনো গুলির শব্দ শোনেনি। এছাড়া আমরা নিহত যুবকের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছি তারা বলেছে স্ট্রোক করে মারা গেছে। তার পায়ে ক্ষতচিহ্নের কথা বললেও সেটা কীসের ক্ষত তারা বলেনি।
মন্তব্য করুন