ঢাকা আশুলিয়ার নবীনগর-চন্দ্রা হাইওয়ে সড়কের পাশে ফুটপাতে চাঁদা তোলার সময় ঢাকা জেলা তাঁতি দলের সভাপতি মো. জাকির হোসেন ওরফে ছোচা জাকিরকে গণপিটুনি দিয়েছেন স্থানীয় হকার ও এলাকাবাসী।
শনিবার (২১ জুন) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ছোচা জাকির ও তার সহযোগীরা প্রতিদিনের মতো ওই এলাকায় গিয়ে হকারদের কাছ থেকে জোরপূর্বক চাঁদা আদায়ের চেষ্টা করলে ক্ষুব্ধ হকাররা একত্রিত হয়ে তাদের ধাওয়া করে। একপর্যায়ে বাঁচতে না পেরে জাকির পাশের দারুল এহসান ট্রাস্টের একটি নিরাপত্তা কক্ষে আশ্রয় নেন। তবে উত্তেজিত জনতা সেখান থেকেও টেনে বের করে পুনরায় গণধোলাই দেয়।
স্থানীয় হকাররা অভিযোগ করে বলেন, ছোচা জাকির দীর্ঘদিন ধরে নবীনগর-চন্দ্রা সড়কসহ আশপাশের ফুটপাত থেকে নিয়মিত চাঁদা আদায় করে আসছিলেন। হকাররা একযোগে চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তিনি তাদের হুমকি দিতে থাকেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে হকার ও পথচারীরা ধাওয়া দিলে তার বেশ কয়েকজন সহযোগী পালিয়ে গেলেও জাকির ধরা পড়ে গণপিটুনির শিকার হন।
স্থানীয় এক হকার বলেন, ছোচা জাকির আমাদের রক্ত চুষে খাচ্ছিল। তার পেছনে রাজনৈতিক প্রভাবশালীদের ছায়া থাকায় এতদিন কেউ মুখ খুলতে সাহস করেনি। আজ আর সহ্য করতে পারিনি, সবাই মিলে প্রতিরোধ করেছি।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, জাকির স্থানীয় আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতার প্রত্যক্ষ মদদে দীর্ঘদিন ধরে চাঁদাবাজি চালিয়ে যাচ্ছিলেন। ফলে কেউ তার বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে কথা বলার সাহস পাননি।
থানার এক কর্মকর্তা জানান, লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। স্থানীয়রা দ্রুত প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন। তারা বলেন, জাকিরের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা না নিলে সে আবার ফিরে এসে আমাদের উপর নির্যাতন শুরু করবে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে জাকিরের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করবার চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
ধামসোনা ইউনিয়ন যুবদলের সহসাংগঠনিক সম্পাদক স্বপন হোসেন কালবেলাকে বলেন, বিশেষ করে ৫ আগস্টের পর জাকিরের অত্যাচারে আমরা অতিষ্ঠ। ফুটপাতে চাঁদাবাজিসহ এমন কোনো অপকর্ম নেই যা দলের নাম ভাঙ্গিয়ে জাকির করে না। আমরা তার বিচার চাই।
মন্তব্য করুন