কুষ্টিয়ার পৌর বিএনপির নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তুলে প্রত্যাখ্যান করেছেন সভাপতি পদে পরাজিত প্রার্থী কাজল মাজমাদার। তিনি এই নির্বাচনের ফল প্রত্যাখ্যান করে ফের নির্বাচনের দাবি করেছেন। এ নিয়ে দুপুর থেকেই দলটির নেতাকর্মীদের মধ্যে শুরু হয় নানা জল্পনা-কল্পনা।
এ বিষয়ে রোববার (২৯ জুন) বেলা ১১টার দিকে কুষ্টিয়া এনএস রোডে একটি রেস্টুরেন্টে সংবাদ সম্মেলন চলাকালে সেখানে খবর পৌঁছায়- কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের পরিত্যক্ত ছাত্রাবাসে বেশকিছু সিল মারা ব্যালট পেপার পাওয়া গেছে।
জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক কাজল মাজমাদার সংবাদ সম্মেলনের পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচন ঘিরে জনমনে নানা সংশয় থাকলেও আমরা দলের বৃহত্তর স্বার্থে এবং গণতন্ত্রের অনুশীলনের জন্য এই নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলাম। কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের ছাত্রাবাসে পাওয়া শতাধিক সিলযুক্ত ব্যালট পেপার পাওয়ার বিষয়টি সংশ্লিষ্ট সবাইকে তদন্ত করে দেখার আহ্বান জানান তিনি।
গত শুক্রবার কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ মাঠে কুষ্টিয়া পৌর বিএনপির দ্বিবার্ষিক কাউন্সিল হয়। কাউন্সিল শেষে ভোটে সভাপতি পদে একে বিশ্বাস বাবু ও সাধারণ সম্পাদক পদে কামাল উদ্দিন বিজয়ী হন। পরে কাজল মাজমাদার ভোট কারচুপির অভিযোগ তুলে পুনর্গণনার আহ্বান জানান। পরদিন শনিবার পুনর্গণনা শেষে চার ভোট বেড়ে কাজলের ভোটের সংখ্যা হয় ৫৯৯। অন্যদিকে, জয়ী প্রার্থী বাবুর ভোট সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৬১২-এ।
এদিকে সিলযুক্ত ব্যালট পেপার পাওয়ার খবর শুনে কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে আসতে শুরু করেন নির্বাচনে পরাজিত প্রার্থী ও দলীয় নেতাকর্মীরা।
নির্বাচনে পরাজিত সভাপতি প্রার্থী আল আমিন রানা কানাই বলেন, আমি শুরু থেকেই নির্বাচনী কার্যক্রমে অনিয়ম-দুর্নীতির গন্ধ পাচ্ছিলাম। তাই প্রথমে নির্বাচনে আসতে চাইনি। তবে দলকে অবিভক্ত রাখার স্বার্থে নির্বাচন করেছিলাম।
এ বিষয়ে কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কুতুব উদ্দিন আহমেদ বলেন, ভোটের সারাদিন কারও কোনো অভিযোগ ছিল না। ভোট গণনার সময় কোনো অভিযোগ ছিল না। কিন্তু ফলের পরই তাদের যত অভিযোগ। আমরা আন্তরিকতার সঙ্গে শতভাগ স্বচ্ছ একটি নির্বাচন করেছি। এখানে কারচুপির অভিযোগ ভিত্তিহীন।
সিল মারা ব্যালট পেপার উদ্ধার হওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নির্বাচনে প্রত্যেক প্রার্থীর প্রতিনিধি ব্যালট পেপারের মুড়ি বই স্বাক্ষর করে বুঝে নিয়েছেন। তবে যেহেতু এটি জাতীয় নির্বাচন কমিশন দ্বারা পরিচালিত নির্বাচন না, তাই যে কেউ ব্যালট পেপার ছাপিয়ে এই নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারে। তবে এই বিষয়টিও আমরা কেন্দ্রকে জানিয়েছি।
মন্তব্য করুন