ভারতীয় অশ্লীল সাইট থেকে ভিডিও নিয়ে এক সংবাদিকের ছবি জুড়ে ব্লাকমেইল করে চাঁদাদাবির ঘটনায় মামলা হয়েছে।
শনিবার (৫ জুলাই) বিকেলে পর্নগ্রাফি ও চাঁদাবাজি আইনে সাতক্ষীরা থানায় মামলাটি নথিভূক্ত করা হয়।
মামলার আসামিরা হলেন- পাটকেলঘাটার কাশিয়াডাঙ্গা গ্রামের আল-আমিন সরদার, শহরের পলাশপোল এলাকার রিনা খাতুন ও কালিগঞ্জের রতনপুর গ্রামের কামরুল হাসানসহ অজ্ঞাতনামা ৫-৬ জন।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ভারতীয় অশ্লীল সাইটের একটি অস্পষ্ট ভিডিও ডাউনলোড করে ভুক্তভোগী সাংবাদিকের ছবি ভিডিওর কর্ণারে জুড়ে দিয়ে ফেসবুকে অপপ্রচার করছে অপরাধীরা। ফেসবুকে পোস্ট করার পূর্বে ওই সাংবাদিকের হোয়াটসঅ্যাপে সেই এডিট করা ভিডিও পাঠিয়ে ফেসবুকে প্রচারের হুমকি দিয়ে মোটা অংকের টাকা চাঁদা দাবি করা হয়। টাকা দিতে অস্বিকৃতি জানালে সেই ভিডিওটি অপরাধীরা নিজ নামীয়সহ বেনামী বিভিন্ন ফেসবুক ও হোয়াটসঅ্যাপে ছড়িয়ে দেয়।
সাতক্ষীরা সাইবার এলার্ট টিমের পরিচালক মাহবুব রহমান ভিডিওটি দেখে বলেন, অশ্লীল ভিডিওতে থাকা ব্যক্তির সঙ্গে এডিট করে ছবি জুড়ে দেওয়া ব্যক্তির মিল নেই। গুগল সেন্স সার্চের মাধ্যমে ভিডিওটির অস্তিত্ব পাওয়া যাচ্ছে ভারতীয় বিভিন্ন অশ্লীল সাইটে।
সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি আবুল কাশেম বলেন, ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে মাঠে থাকা একজন সৎ ও সুপরিচিত সাংবাদিককে টার্গেট করে ফেসবুকে অপপ্রচার করছে একটি চক্র। বলা হচ্ছে, অশ্লীল ওই অস্পষ্ট ভিডিওটি ওই সাংবাদিকের। অথচ যার কোনো বাস্তবতা নেই। আমি এই ঘটনায় জড়িত অপরাধীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবি করছি। না হলে সাতক্ষীরার সাংবাদিক সমাজ মাঠে নামবে।
সাতক্ষীরা সদর থানার ওসি শফিকুর রহমান কালবেলাকে বলেন, এ ঘটনায় পর্নগ্রাফি ও চাঁদাবাজি আইনে এজাহার নামীয় তিনজন ও অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে পুলিশ।
মন্তব্য করুন