কুমিল্লার মেঘনা উপজেলায় চাঁদা না দেওয়ায় এক ঠিকাদারকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে দেশি অস্ত্র দিয়ে সশস্ত্র হামলার অভিযোগ উঠেছে।
বুধবার (১ অক্টোবর) রাতে উপজেলার রাধানগর ইউনিয়নের মোল্লাকান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। হামলায় ঠিকাদার মামুনসহ তিনজন আহত হয়েছেন।
শনিবার (৪ অক্টোবর) এ ঘটনার আহত মামুন বাদী হয়ে মেঘনা থানায় একটি অভিযোগ করেছেন।
এতে মোহাম্মদ আলী ও গিয়াস উদ্দিনসহ ৯ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় আরও দুই থেকে তিনজনকেও আসামি করা হয়েছে।
আহত ঠিকাদার মামুন জানান, এলাকার চিহ্নিত চাঁদাবাজ হিসেবে পরিচিত মোহাম্মদ আলী ও গিয়াস উদ্দিন দীর্ঘদিন ধরে তার ওপর ক্ষুব্ধ ছিলেন। প্রায় ১৫ দিন আগে সোহেল মিয়ার দালান নির্মাণের কাজে চাঁদা দাবি করেন তারা। তিনি চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাদের মধ্যে বিরোধ তৈরি হয়।
তিনি আরও জানান, ঘটনার দিন ইব্রাহিমের মোবাইল ফোনে তাকে ডেকে আনা হয়। কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই তাকে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুসি মারা হয়। পরে তিনি দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করলে হামলাকারীরা তার ভাইয়ের দোকানের সামনে গিয়ে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে মাথায় কোপ দেয়। এতে মাথায় গুরুতর জখম হয়, যেখানে ১৭টি সেলাই দিতে হয়েছে এবং পায়ে হকিস্টিক দিয়ে আঘাত করে তা ভেঙে ফেলা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী আব্দুল করিম জানান, ‘আমি গ্যারেজে গাড়ি রাখতে গিয়ে দেখি মামুনকে মারধর করা হচ্ছে। তাকে বাঁচাতে এগিয়ে গেলে গিয়াস উদ্দিন আমাকে হকিস্টিক দিয়ে আঘাত করে, এতে আমার মাথা ফেটে যায়।’
বাড়ি নির্মাণকারী সোহেল মিয়া বলেন, ‘মোহাম্মদ আলী, জহির ও গিয়াস উদ্দিন আমাকে কাজ বন্ধ রাখতে এবং মামুনকে দিয়ে কাজ না করাতে বলেছিল।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত গিয়াস উদ্দিন তার সম্পৃক্ততা অস্বীকার করে বলেন, ‘আমি এসব ঘটনার সঙ্গে জড়িত নই। এলাকায় খোঁজ নিয়ে দেখেন আমি এসব কাজ করি কি না।’
এ বিষয়ে মেঘনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল জলিল কালবেলাকে বলেন, ঠিকাদারকে হামলার ঘটনায় অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে পরবর্তীতে আইনাগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন