রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার ৫নং সয়ার ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও সেবা বঞ্চনার অভিযোগ উঠেছে। দীর্ঘদিন ধরে পরিষদের সেবা না পাওয়ার ক্ষোভে বিক্ষুব্ধরা পরিষদের প্রতিটি কক্ষে তালা লাগিয়ে দিয়েছেন।
মঙ্গলবার (৮ জুলাই) দুপুরে ইউনিয়ন পরিষদে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, ইউপি চেয়ারম্যান আল ইবাদত হোসেন পাইলট পেশায় একজন পল্লী চিকিৎসক। ফলে তিনি জনপ্রতিনিধিত্বের দায়িত্ব পালনে উদাসীন। অধিকাংশ সময় উপজেলার চৌপথি মোড়ে নিজ চেম্বারে অবস্থান করেন। পরিষদের কার্যক্রম প্রায় স্থবির হয়ে পড়েছে।
ঘটনার দিন মৃত্যু সনদ নিতে আসা এক ব্যক্তিসহ অন্য সেবা প্রত্যাশীরা পরিষদে এসে কাউকে না পেয়ে বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠে। পরে তারা পরিষদের সব কক্ষে তালা লাগিয়ে দেয়। এ সময় উপজেলা এনসিপি, গণ অধিকার পরিষদ, এবি পার্টি, খেলাফতে মজলিস ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নেতারা বিক্ষুব্ধ জনতার সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেন।
এনসিপি তারাগঞ্জ শাখার সাধারণ সম্পাদক মুসা আলম বলেন, আমি ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলাম। সন্ধ্যায় আমরা সাংবাদিকদের সঙ্গে বসে বিস্তারিত মতবিনিময় করব। এখন এ বিষয়ে মন্তব্য করতে চাই না।
অন্যদিকে ইউপি চেয়ারম্যান আল ইবাদত হোসেন পাইলট বলেন, ঘটনাটি পরিকল্পিত এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। সংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলোর অনেকেই বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা পেয়েও সন্তুষ্ট নয় বলেই এ ধরনের অপকৌশল নিয়েছে। আজ (মঙ্গলবার) পরিষদের এক সদস্যের শ্বশুরের কুলখানিতে সকলে গিয়েছিলেন। পরিষদ ফাঁকা রাখা অনাকাঙ্ক্ষিত হলেও তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ইউএনও স্যারের সঙ্গে কথা বলেছি, তিনি তালা খুলে পরিষদের কাজ চালিয়ে যেতে বলেছেন।
এ বিষয়ে তারাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রুবেল রানা বলেন, বিষয়টি অবগত হয়েছি। যেকোনো সরকারি সেবামূলক প্রতিষ্ঠানে তালা লাগানো বেআইনি। ইতোমধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, এনসিপিসহ বিভিন্ন সংগঠন এক সপ্তাহ আগেই উপজেলার পাঁচ ইউনিয়ন পরিষদে জনসেবা পরিদর্শনের ঘোষণা দেয়। তবে এ ঘটনার আগে সংশ্লিষ্ট চেয়ারম্যানকে অবহিত করা হয়নি এবং পরিষদে সেবা না থাকায় জনগণ খেপে ওঠে।
মন্তব্য করুন