বরগুনায় জেলা নির্বাচন অফিস কার্যালয়ে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। এতে বিভিন্ন কাগজপত্রসহ কয়েকটি কম্পিউটার ও বিভিন্ন আসবাবপত্র আগুনে পুড়ে গেছে। এই সংবাদ লেখা পর্যন্ত এ অগ্নিকাণ্ডের উৎস বা কারণ খুঁজে পাননি ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা।
সোমবার (১৪ জুলাই) সকাল ৭টার দিকে এ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। বরগুনা অতিরিক্ত জেলা নির্বাচন অফিসার মো. মনির উজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জেলা নির্বাচন অফিস কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার সকালে দায়িত্বরত নাইটগার্ড অফিসের পর্দা টানাতে যান। এরপর অফিসের পরিচ্ছন্নতাকর্মী কাজ করতে গিয়ে একটি রুমের মধ্যে কটকট শব্দ শুনতে পান। পরে তিনি অন্য লোকজনকে বিষয়টি জানালে তারা এসে অফিসের হিসাব শাখা নামে একটি রুমে আগুন জ্বলতে দেখেন। পরে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে ঘটনাস্থলে পৌঁছে দ্রুত সময়ের মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
এ সময়ের মধ্যে ওই রুমে থাকা পুরাতন ভোটার তালিকা, কয়েকটি ব্যালট বাক্স, কম্পিউটার, একটি ফ্রিজ এবং অন্যান্য কাগজপত্রসহ কিছু আসবাবপত্র পুড়ে যায়।
বরগুনা জেলা নির্বাচন অফিসের অতিরিক্ত জেলা নির্বাচন অফিসার মো. মনির উজ্জামান বলেন, অফিসের নাইটগার্ড পর্দা টানিয়ে যায় এবং পরিচ্ছন্নতাকর্মী পরিষ্কারের কাজ করছিল। এ সময় একটি রুম থেকে কটকট শব্দ শুনে অন্যদের জানালে তারা এসে একটি রুমে আগুন জ্বলতে দেখেন। পরে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে তারা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
তিনি বলেন, সকালে এ ঘটনা ঘটায় অনেকেই ঘুমে ছিল। যে কারণে ওই রুমটি আগুনে পুড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং অন্য রুমগুলো ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়েছে।
এ বিষয়ে বরগুনা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক জাহাঙ্গীর আহমেদ বলেন, সোমবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে আমরা আগুন লাগার খবর পাই। পরে স্টেশন কাছাকাছি হওয়ায় দ্রুত সময়ের মধ্যে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। তবে পাশে থাকা মূল স্টোরে আগুন ছড়াতে পারেনি। শুধু হিসাব শাখা নামের একটি রুমেই আগুন সীমাবদ্ধ ছিল এবং সেখানে থাকা কম্পিউটার, ফটোকপি মেশিন এবং কিছু ফাইলপত্র পুড়েছে। মূল স্টোর যেখানে প্রচুর মালামাল ছিল তা কোনোভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি।
কী কারণে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটতে পারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যেহেতু নাইটগার্ডসহ অফিসের বিভিন্ন লোকজন আছেন বিষয়টি তদন্তসাপেক্ষে বলা যাবে।
মন্তব্য করুন