গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলায় কাভার্ডভ্যান ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত বেড়ে ৫ জনে দাঁড়িয়েছে। তাদের মধ্যে তিনজনই একই পরিবারের সদস্য।
শুক্রবার (১৮ জুলাই) দুপুরে ফুলবাড়িয়া-মাওনা আঞ্চলিক সড়কের বড়চালা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন—বগুড়া জেলার ধুনট উপজেলার ঈশ্বরঘাট এলাকার বাসিন্দা জাহিদ হোসেন, তার স্ত্রী নাসরিন আক্তার, ছেলে আবু হুমারা, সিএনজি যাত্রী শ্রীপুর উপজেলার মাওনা এলাকার বাসিন্দা সফিকুল ইসলাম এবং চালক মেহেদী।
কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আবদুল মান্নান বিষয়টি কালবেলাকে নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার দুপুরে মাওনা এলাকা থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় ৫ যাত্রী কালিয়াকৈরের উদ্দেশে রওনা দেন। তাদের বহনকারী অটোরিকশাটি ফুলবাড়িয়া ইউনিয়নের বড়চালা এলাকায় পৌঁছলে বিপরীত দিক থেকে আসা দ্রুতগামী একটি কাভার্ডভ্যানের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে অটোরিকশার সামনের অংশ দুমড়েমুচড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই অটোরিকশার যাত্রী জাহিদ ও তার ছেলে নিহত হন। এ সময় জাহিদের স্ত্রী, যাত্রী শফিকুল ইসলাম ও চালক গুরুতর আহত হন।
স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে কালিয়াকৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ আশপাশের হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে কুমুদিনী হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা জাহিদের স্ত্রী নাসরিনকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত শফিকুল ইসলামকে শ্রীপুর আল হেরা হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে মারা যান তিনি। বিকেলে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সিএনজি অটোরিকশার চালক।
এদিকে ঘটনার পর খবর পেয়ে হাসপাতালে ভিড় করেন নিহতদের স্বজনরা। এ সময় তারা মরদেহ শনাক্ত করেন।
স্বজনরা বলছেন, মাওনা থেকে কালিয়াকৈর আসার পথে মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় এতগুলো প্রাণহানি ঘটেছে। এতে দায়ী কাভার্ডভ্যান চালকের শাস্তি দাবি করেন তারা।
এ বিষয়ে কালিয়াকৈর থানার ফুলবাড়িয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সুরুজ্জামান বলেন, কাভার্ডভ্যান ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার সংঘর্ষে ঘটনাস্থলে দুজন ও হাসপাতালে নেওয়ার পর আরও তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের মধ্যে একই পরিবারের তিনজন রয়েছেন।
তিনি বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদনসহ প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ঘাতক কাভার্ডভ্যানটি জব্দ করা হয়েছে। তবে চালক পালিয়ে গেছে।
মন্তব্য করুন