রাজশাহী মহানগরের ৫৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ২ হাজার ৩০৩ জন শিক্ষার্থীর হাতে বইপড়ায় কৃতিত্বের পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়েছে। শনিবার (১৯ জুলাই) জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য উৎসবের মধ্য দিয়ে এ পুরস্কার বিতরণ করা হয়। বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের উদ্যোগে এবং গ্রামীণফোনের সহযোগিতায় অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয়।
জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মাধ্যমে উৎসবের সূচনা হয়। স্বাগত বক্তব্যে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের পরিচালক শামীম আল মামুন বইপড়া কর্মসূচিতে বছরের পর বছর অংশ নেওয়া শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অভিভাবক ও পৃষ্ঠপোষকদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহীর বিভাগীয় কমিশনার খোন্দকার আজিম আহমেদ। তিনি বলেন, বই পড়া মানে জ্ঞানের দরজা খুলে দেওয়া। এটা মানুষকে মুক্তভাবে চিন্তা করতে শেখায়। পাঠাভ্যাস বাড়াতে হবে আমাদের শিশুদের মধ্যেই।
বিশেষ অতিথি হিসেবে পাখি বিশেষজ্ঞ ও লেখক ইনাম আল হক তার বক্তব্যে বলেন, আমার জীবনের প্রথম শিক্ষক ছিলেন আমার মা। তিনি দেখিয়েছেন কীভাবে জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপে শিক্ষা প্রভাব ফেলে। আমি বিশ্বাস করি, নারীর ভাষা ও জ্ঞান দিয়েই পরিবার ও সমাজকে আলোকিত করা সম্ভব।
বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক আফিয়া আখতার, বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. আবদুন নূর তুষার, নাটোরের অধ্যাপক অলোক মৈত্র, লেখক ও গবেষক অধ্যাপক মাজহারুল ইসলাম তরু, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষার রাজশাহী অঞ্চলের ভারপ্রাপ্ত উপপরিচালক আবদুর রশিদ এবং গ্রামীণফোনের রাজশাহী সার্কেলের রিজিওনাল হেড মাহমুদুল হাসান।
পুরস্কার প্রদান পর্বে ৩৮টি স্কুলের ১ হাজার ৬৬৪ জন শিক্ষার্থী সরাসরি মঞ্চ থেকে পুরস্কার গ্রহণ করে, যার মধ্যে ছাত্রী ছিল ১ হাজার ২৪৪ জন এবং ছাত্র ছিল ৪২০ জন। বাকি ১৮টি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের পক্ষে পুরস্কার গ্রহণ করেন সংশ্লিষ্ট শিক্ষক বা সংগঠক।
পুরস্কারপ্রাপ্তদের মধ্যে ‘স্বাগত পুরস্কার’ পেয়েছে ১ হাজার ১১৭ জন, ‘শুভেচ্ছা পুরস্কার’ পেয়েছে ৭২৮ জন, ‘অভিনন্দন পুরস্কার’ পেয়েছে ৩৮৩ জন এবং ‘সেরাপাঠক’ হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে ৭৫ জন শিক্ষার্থী।
আয়োজনে এবং পুরস্কারের বইগুলোর পৃষ্ঠপোষকতা করেছে গ্রামীণফোন লিমিটেড। আগামী বছরগুলোতেও বইপড়া কর্মসূচিতে আরও বেশি শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র এ অনুষ্ঠানে অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে।
মন্তব্য করুন