চট্টগ্রামে উত্তর জেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম আকবর খন্দকারের ওপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় তার ব্যবহৃত গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে এবং কয়েকটি মোটরসাইকেলে আগুন দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) বিকেলে পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের সত্তারঘাট রাঙামাটি সড়কে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
হামলায় গোলাম আকবর খন্দকারসহ রাউজান উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক নাসিম উদ্দিন চৌধুরী, গোলাম আকবর খোন্দকারের পিএস অর্জুন কুমার নাথ, এপিএস আসিকুর রহমান, যুবদলে নেতা সাজ্জাদ হোসেন, বিএনপি নেতা আওরঙ্গজেব সম্রাট, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রদলের সহসভাপতি নাঈম উদ্দিন মিনহাজ, মোহাম্মদ হুমায়ুনসহ প্রায় ২০ জন আহত হয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও দলীয় সূত্রে জানা গেছে, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা, সাবেক রাষ্ট্রদূত ও সংসদ সদস্য এবং চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম আকবর খোন্দকার রাউজান উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মহিউদ্দীন আহমেদের কবর জিয়ারতে যাচ্ছিলেন। এ সময় বিপরীত দিক থেকে বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর অনুসারীরা ৯ আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি এবং গণসমাবেশ উপলক্ষে মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা নিয়ে সত্তরঘাট এলাকায় পৌঁছায়।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, রাউজানে যাওয়ার পথে বিএনপির আরেক গ্রুপের নেতাকর্মীরা খন্দকার আকবরকে বহনকারী গাড়ি এবং মোটরসাইকেল শোভাযাত্রায় উপুর্যুপরি ইট পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। একপর্যায়ে খন্দকার আকবর গাড়ি থেকে নেমে যান। এ সময় তার গাড়িসহ বহরে থাকা মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে পুড়িয়ে দেয় হামলাকারীরা। এ ঘটনার জন্য আহতরা স্থানীয় বিএনপির আরেক গ্রুপ দলটির ভাইস চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর অনুসারীদের দায়ী করেন।
এ বিষয়ে গোলাম আকবর খোন্দকারের ব্যক্তিগত সহকারী অর্জুন কুমার নাথ জানিয়েছেন, গোলাম আকবর খোন্দকারকে লক্ষ্য করেই গুলি করা হয়েছিল। গলার পাশ দিয়ে গুলিটি চলে গেছে, এতে রক্তপাত হয়। তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
ঘটনার সম্পর্কে জানতে রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলামের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি কোনো সাড়া দেয়নি।
এ ঘটনায় পরিস্থিতি থমথমে রয়েছে। এলাকাজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
মন্তব্য করুন