বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি বলেছেন, রাজনৈতিক দলগুলো যদি ঐক্যবদ্ধ না হয়, তাহলে আমাদের জন্য বিপদ আছে। সবাই আবার অত্যাচারিত হবেন, নির্যাতিত হবেন।
শনিবার (২ আগস্ট) দুপুরে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার লাহারকান্দি ইউনিয়ন বিএনপির প্রতিনিধি নির্বাচনী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। লাহারকান্দি ইউনিয়নের চাঁদখালী এ রব উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এ সভার আয়োজন করা হয়।
শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি বলেন, আমি-আপনি অত্যাচারিত হওয়া আর সাধারণ মানুষ অত্যাচারিত হওয়া এক নয়। আমার কারণে কেন সাধারণ মানুষ অত্যাচারিত হবে। আমার কারণে কেন সাধারণ জনগণ নির্যাতিত হবেন। এজন্য সব রাজনৈতিক দলের প্রতি, রাজনৈতিক নেতৃত্বের প্রতি উদাত্ত আহ্বান, আসুন ঐক্যবদ্ধভাবে গণতন্ত্রের ভিতকে শক্তিশালী করি। নির্বাচন প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করি।
তিনি আরও বলেন, সংস্কার চলমান প্রক্রিয়া, হাসিনার দৃশ্যমান বিচার এখনো হয়নি। হাসিনার নির্দেশের কারণে গুম-খুন হয়েছে। তার নির্দেশের কারণে হেলিকপ্টার থেকে খুন করা হয়েছে। তার নির্দেশের কারণেই দেশের হাজার হাজার মানুষ নির্যাতিত হয়েছে, রক্তাক্ত হয়েছে। হাসিনাকে ক্ষমা করার সুযোগ নেই।
বিএনপির এ নেতা বলেন, যদি দ্রুত সময়ের মধ্যে অন্তর্বর্তী সরকার বিচারের ব্যবস্থা করতে না পারে, আমি আপনাদের অভয় দিতে চাই, আগামী দিনে এ দেশে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে। আমরা আশা করতে পারি, আগামী দিনে জনগণের সরকারের নেতৃত্ব দেবে বিএনপি। আমরা তারেক রহমান ও বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে হাসিনার বিচার নিশ্চিত করব।
এ্যানি বলেন, শাহবাগে জুলাই যোদ্ধারা পক্ষে-বিপক্ষে মারামারি করেছে। বিষয়টি আমাদের ব্যথিত করেছে। এ অবস্থায় আমরা আশাহত, দুর্ভাগ্য এ জাতির। এটা আমাদের জন্য কষ্টের। নামেই জুলাই যোদ্ধা, প্রকৃতপক্ষে শুক্রবার শাহবাগে যেটা হয়েছে, কামে কি তা আর জুলাই যোদ্ধা রয়েছে? জুলাই যোদ্ধারা এটা করতে পারে? জুলাই যোদ্ধা কি শুধু শাহবাগেই ছিল? সারা দেশে জুলাই যোদ্ধা ছিল না? আমি-আপনি-আপনারা, দেশের মানুষ সবাই কি জুলাই যোদ্ধা না? কিছুসংখ্যক জুলাই যোদ্ধা নামে যদি আমাদের বদনাম করে এবং আমাদের ব্যথিত করে, আহত করে, আমরা যদি তাদের কারণে কষ্ট পাই, স্বাভাবিক কারণে সেখানে ফ্যাসিস্ট সুযোগ পাবে।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব বলেন, সবাই মিলে হাসিনার বিরুদ্ধে আন্দোলন করলাম। লড়াই-সংগ্রাম, গুম-খুন, হেলিকপ্টার থেকে পর্যন্ত শিশু বাচ্চাটাকে হত্যা করেছে, ছাত্র-সাধারণ মানুষকে হত্যা করেছে। হাসিনা পালিয়ে গিয়েছে। কিন্তু একটি বছরের মাথায় সারা বাংলাদেশে সব যোদ্ধা এক এবং ঐক্যবদ্ধ থাকতে পারব না? এটি দেশের মানুষ ভালোভাবে নিচ্ছে না।
লাহারকান্দি ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন- জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সাহাবুদ্দিন সাবু, যুগ্ম আহ্বায়ক হাসিবুর রহমান, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সহসভাপতি ওয়াহিদ উদ্দিন চৌধুরী হ্যাপি, লক্ষ্মীপুর জজ আদালতের পিপি আহমেদ ফেরদৌস মানিক, জেলা আইনজীবী ফোরামের সভাপতি হাফিজুর রহমান, সদর (পূর্ব) উপজেলা বিএনপির আহ্বোয়ক মাইন উদ্দিন চৌধুরী রিয়াজ, যুগ্ম আহ্বায়ক শাহ মো. এমরান ও সদস্য সচিব মোখলেছুর রহমান হারুন।
মন্তব্য করুন