রাঙ্গুনিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৩ আগস্ট ২০২৫, ০২:২৬ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

মাচায় তরমুজ চাষে স্বপ্ন বুনছেন চাষিরা

মাচায় ঝুলছে তরমুজ। ছবি : কালবেলা
মাচায় ঝুলছে তরমুজ। ছবি : কালবেলা

চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় আট শতক জমিতে গতবছর মাচায় গ্রীষ্মকালীন তরমুজের আবাদ করেছিলেন সাইফুল ইসলাম। মাত্র ১৫ হাজার টাকা খরচ করে আয় করেছিলেন প্রায় দুই লাখ টাকা। এতে তিনি উদ্বুদ্ধ হয়ে আবারও দশ শতক জমিতে গ্রীষ্মকালীন তরমুজ আবাদ করেছেন। এবারও ভালো ফলন পেতে শুরু করেছেন এবং বেশ বিক্রি হচ্ছে বলে জানান তিনি।

সাইফুলের দেখাদেখি একই প্রক্রিয়ায় আরও বেশকিছু কৃষক এই পদ্ধতিতে তরমুজ আবাদ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। অসময়ে কীভাবে তরমুজের চাষ করা যায় সেটি দেখে উৎসাহিত হচ্ছেন অনেক কৃষক।

সরেজমিনে দেখা যায়, মাচায় দুলছে সারি সারি তরমুজ। প্রতিটি তরমুজকে বিশেষ প্রক্রিয়ায় ঝুড়িতে করে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। দেখতে অনেকটা মনোরম দেখাচ্ছিল। এ সময় কথা হয় কৃষক মো. সাইফুল ইসলাম জানান, প্রথমবার চাষে সফল হয়ে দ্বিতীয়বারের মতো এবারও গ্রীষ্মকালীন তরমুজের চাষাবাদ করেছেন। এবার তার খরচ হয়েছে ২০ হাজার টাকা। প্রথমদিকে তরমুজ লাগানোর সময় আবহাওয়া খুব ভালো ছিল। কিন্তু যখন তরমুজ ধরতে শুরু করেছে তখন বিরূপ আবহাওয়া বিরাজমান ছিল এবং রোগের প্রাদুর্ভাবও কিছুটা বাড়তি ছিল। তারপরও যে ফলন হয়েছে তাতে তার খরচ মিটিয়ে আরও লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা বেশি রয়েছে। ইতোমধ্যে তিনি প্রায় ১০ থেকে ১২ হাজার টাকার মতো তরমুজ বিক্রি করেছেন এবং তার চাষকৃত জমিতে প্রতিদিন অনেকে দেখতে আসেন। সবাই একযোগে এই চাষে এগিয়ে এলে সবাই লাভবান হবেন এবং সমগ্র রাঙ্গুনিয়ায় তরমুজের চাষাবাদ বৃদ্ধি পাবে বলে জানান তিনি।

নতুন উদ্যমী কৃষকদের পরামর্শ জানিয়ে তিনি আরও জানান, গ্রামের উদীয়মান যুবকরা যখন পরামর্শ চান তখন চাষাবাদ পদ্ধতি তাদেরকে শিখিয়ে দেন তিনি। তিনি জানান, উপসহকারী কৃষি অফিসার উত্তম কুমার শীল তাকে প্রথম গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন। প্রথমবার চাষাবাদেও লাভবান হয়েছিলেন এবং এবারও তিনি লাভবান হচ্ছেন।

উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা উত্তম কুমার শীল বলেন, সাইফুল ইসলাম একজন তরুণ উদ্যোক্তা। গতবারও আমার পরামর্শে উনি তরমুজ চাষ করেছেন এবং বেশ লাভবান হয়েছেন। এবারও লাভবান হচ্ছেন। ওনার দেখাদেখি এলাকায় অন্যান্য উদীয়মান যুবকরাসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কৃষকরা আগ্রহ প্রকাশ করছেন গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষাবাদ করার জন্য। তাদেরও সর্বাত্মক সহায়তা করব আমরা।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইমরুল কায়েস বলেন, আমি মনে করি এটিই আমাদের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সফলতা। আমি গ্রামীণ যুবক ভাইদের আহ্বান জানাব, সাইফুলের মতো যেন এ ধরনের আয়বর্ধক নতুন নতুন লাভজনক ফসল চাষাবাদে এগিয়ে আসেন। আগ্রহীদের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে টেকনিক্যালি সব সহায়তা প্রদান করা হবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

শায়েস্তাগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল যুবকের

প্রধান উপদেষ্টার মালয়েশিয়া সফরে ৫টি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হবে : প্রেস সচিব  

বেগম রোকেয়া’র ‘সুলতানার স্বপ্ন’ গ্রন্থের ইউনেস্কোর স্বীকৃতি উপলক্ষে ইডব্লিউইউ’র সেমিনার

‘শিক্ষার্থীরা এআই দিয়ে পরীক্ষা দিচ্ছে, প্রিন্সিপাল বসে চা খাচ্ছেন’

বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের আলোচনা শুরু

সড়ক ব্যবস্থাপনা সংস্কারে রোড সেফটির ১৮ প্রস্তাব

আশুলিয়া সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার

শাহজালাল বিমানবন্দরে যাত্রী-স্বজনদের জন্য নতুন নির্দেশনা

নিউমার্কেটে ১১০০ অস্ত্র উদ্ধার মামলায় ৯ কর্মচারী রিমান্ডে

স্বতন্ত্র শিক্ষা ক্যাডার রক্ষার দাবিতে ঢাবিতে বিক্ষোভ

১০

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে মঞ্চস্থ হবে ডকু-ড্রামা ‘৩৬ জুলাই’

১১

‘ডিসেম্বরের মধ্যেই চট্টগ্রাম বন্দরের ৩ টার্মিনাল বিদেশি অপারেটরদের কাছে দেওয়া হবে’

১২

‎সীতাকুণ্ডে শিপ ব্রেকিং ইয়ার্ডে অক্সিজেন সিলিন্ডার পাইপ বিস্ফোরণ

১৩

গণঅভ্যুত্থানে আহত ৭৮ জনকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে প্রেরণ 

১৪

জরুরি তথ্য চেয়ে মাউশির চিঠি

১৫

দেশ আবারও ওয়ান-ইলেভেন বা ফ্যাসিবাদের দিকে যেতে পারে : নুর

১৬

কমিউনিটি শিল্ড / লিভারপুলকে পেনাল্টিতে হারিয়ে চমক ক্রিস্টাল প্যালেসের

১৭

‘ভারতের বাঁধ নির্মাণ পর্যন্ত অপেক্ষা করব, শেষ হলেই ১০টি মিসাইল মারব’

১৮

রাজশাহী মহানগর বিএনপির কমিটি বিলুপ্ত, দায়িত্বে দুই কেন্দ্রীয় নেতা

১৯

নীতিসহায়তা পেলে চিকিৎসা সরঞ্জাম খাত বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি শিল্প হবে

২০
X